উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলে থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শামুকের অস্তিত্ব। বিভিন্ন জলাভূমি ও কৃষিজমি থেকে নির্বিচারে চলছে শামুক নিধন ও বিক্রি। বর্তমানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী শামুকের আবাসস্থল ধ্বংস, ছোট ও ডিমওয়ালা শামুক আহরণসহ বিভিন্ন কারণে এটি এখন বিলুপ্তির পথে। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে স্থানীয় কৃষি জমি ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর। শামুকের খোলসের ভেতরের নরম অংশ মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। শামুকের বিলুপ্তিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মাছ উৎপাদনে। বিশেষ করে দেশীয় মাছ কৈ, শিং, টাকি, টেংরা, শৈল মাছের ডিম থেকে সদ্যজাত পোনার একমাত্র খাদ্য হচ্ছে শামুকের নরম ডিম। আর এ খাবার না পেলে ওই পোনা মাছ মারা যায়। এভাবে শামুক নিধন হতে থাকলে দেশি প্রজাতির মাছ আরো বেশি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। পানি পরিষ্কার রাখা ও জলাভূমির জীববৈচিত্র সুরক্ষায় ব্যাপক ভূমিকা রাখলেও টিকে থাকা নিয়ে হুমকির মুখে পড়েছে শামুক। এলাকার ঘের মালিক বলেন, ঘেরে শামুক দেয়া হলে মাছ তাড়াতাড়ি বাড়ে, তাজা হয়। অল্প সময়ে বেশি লাভ করতে এ খাবার দেয়া হয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘবদ্ধভাবে বিল, হাওড় থেকে শামুক কুড়িয়ে ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করে। পরে ফড়িয়ারা ব্যাপারীর কাছে তা বিক্রি করে। শামুক মূলত মাটির ক্যালসিয়াম কার্বনেট বাড়ায়। মাটির গুণগত মান ঠিক রাখে ও পানি ফিল্টারিংয়ের কাজ করে। ফলে এটি কমে গেলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে। মাটির অ্যাসিডিটি বেড়ে যাবে। এতে ফসল উৎপাদন কমবে।