নীলফামারী – ৪ আসন নৌকা মার্কার প্রার্থী মনোনয়নের দাবিতে সৈয়দপুরে মানববন্ধন

0
676

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারী – ৪ (সৈয়দপুর – কিশোরগঞ্জ) আসনে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা নৌকা মার্কার প্রার্থী মনোনয়ের দাবিতে নীলফামারীর সৈয়দপুরে মানববন্ধন করা হয়েছে। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা কাফনের কাপড় পড়ে সড়কের ওপর শুয়ে পড়েন। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে সৈয়দপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় ওই মানববন্ধন করা হয়।
আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলা ও পৌর শাখা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ব্যাপারে আয়োজিত ওই মানববন্ধন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন। এ সময় অনেক নেতাকর্মী কাফনের কাপড় পড়ে সড়কের ওপর শুয়ে পড়েন।
প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আলহাজ্ব মো. আব্দুস্ সামাদ মন্ডল, পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিজানুর রহমান লিটন, মহসিন মন্ডল মিঠু, নীলফামারী জেলা মটর শ্রমিক নেতা মো. মমতাজ আলী ও মানিক মিয়া প্রমূখ।
মানববন্ধনে আলোচনা সভার বক্তব্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নীলফামারী – ৪ আসনে নৌকা মার্কার মনোনীত প্রার্থী দাবি করেন। এ সময় নেতারা তাদের বক্তৃতায় বলেন, মহাজোট থেকে জাপার যে দুইজনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। এদের মধ্যে বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরীর বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ফিরিস্তি তুলে ধরেন এবং এলাকায় তাঁর গ্রহনযোগ্য একেবারে শূণ্যের কোঠায় নেমেছে দাবি করেন। তাঁর (শওকত চৌধুরী) নানাবিধ কর্মকান্ডের কারণে নির্বাচনী এলাকায় তিনি বির্তকিত ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছেন। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আসনটি উন্মুক্ত ছিল। সে সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মরহুম কর্ণেল এ এ মারুফ সাকলানের কাছে বিপুল ভোটে পরাজিত হন জাপার প্রার্থী আলহাজ্ব মো. শওকত চৌধুরী। আর অপর ঘোষিত প্রার্থী আলহাজ্ব আহসান আদেলুর রহমান আদেলের এলাকায় কোন পরিচিতি নেই। এলাকার তিনি একেবারে নতুন মুখ। তার বাবা মরহুম ড. আসাদুর রহমান এ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হলেও এলাকা তেমন একটা আসতেন না। নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার কোন যোগাযোগ ছিল না। তাই মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে উল্লিখিতদের মনোনয়ন দিলে এ আসনটি হারাতে হবে নিশ্চিত বলে উল্লেখ করেন বক্তারা। মানববন্ধনে বক্তব্যে বক্তারা বিগত ২০০৮ সালের মতো এ আসনটি উন্মুক্ত রাখার দাবি জানান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here