হাফিজুর রহমান কাজল,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি :
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তানকে মিলন (৪০) নামে এক ব্যক্তি পৈশাচিক নির্যাতন করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার গোবিন্দহুদা গ্রামে নিজ বাড়িতে স্ত্রী ও দুই সন্তানকে শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন মিলন।
আহতরা হলেন স্ত্রী খুরশিদা খাতুন (৩৫), মেয়ে পিএসসি পরীক্ষার্থী নুপুর (১১) ও ৬ বছরের ছেলে হুজাইফা।
তাদেরকে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পরে পুলিশ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার নাটুদা গ্রাম থেকে অভিযুক্ত মিলনকে আটক করেছে। মিলন গোবিন্দহুদা গ্রামের বাবু শহর আলীর ছেলে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে মিলন ও খুরশিদার মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মিলন ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী খুরশিদাকে ধারালো শাবল দিয়ে খুঁচিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় তার শিশুসন্তান পিএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে নুপুর ও ছেলে হুজাইফা মাকে বাঁচাতে গেলে মিলন তাদেরকেও খুঁচিয়ে মারাত্মক জখম করে।
তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে মিলন পালিয়ে যায়। এ সময় প্রতিবেশীরা আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করেন।
পরে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অভিযুক্ত মিলনকে দামুড়হুদার নাটুদা গ্রাম থেকে আটক করে বলে জানান ওসি সুকুমার বিশ্বাস।