খবর ৭১: নয়াপল্টন থেকে নিখোঁজ হওয়া যশোরের বিএনপির নেতা আবু বকর নিহত হওয়ার ব্যাপারে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। এর আগে সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের জন্য ঢাকায় এসে চার দিন আগে পল্টন থেকে নিখোঁজ হন যশোরের বিএনপি নেতা আবু বকর আবু। গতকাল বৃহস্পতিবার তার লাশ বুড়িগঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সিইসি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
বিএনপির সেই নেতা পুলিশ হেফাজতে ছিলেন, তাকে আটক করা হয়েছিল বিষয়টি নজরে আনলে সিইসি বলেন, তিনি পুলিশ হেফাজতে ছিলেন? আমরা পুলিশকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেব। যাতে তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কত কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার হবে সে বিষয়ে দুই একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান তিনি।
সিইসি বলেন, ইভিএম একটি নতুন উদ্যোগ। ব্যালটে ভোট দেয়ার যে ঝামেলা সেটি দূর করতে হবে। ইভিএমের মাধ্যমে সেটা করা যেতে পারে। ইতোপূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এটি ব্যবহার করা হয়েছে। সংসদ নিবাচনে ইভিএম ব্যবহারে কোনো আইনগত বাধা নেই। সেটা আমরা ব্যবহার করব। দুই একদিনের মধ্যে কতটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে তা নির্ধারণ করা হবে। যেখানে ইভিএম ব্যবহার হবে, সেখানে কয়েকদিন আগে মানুষকে বুঝাতে হবে। যাতে কোনো সমস্যা না থাকে। ভোটারদের বুঝাতে হবে। বিভিন্ন দল ইভিএমের বিরোধিতা করে, তারা এসে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুক। তাদের লোক দিয়ে ইভিএমের টেকনিক্যাল বিষয় পরীক্ষা করুক। তাহলে তাদের সংশয় কেটে যাবে।
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বরকে কেন্দ্র করে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। দিনটি এতোই গুরুত্বপূর্ণ ওইদিন জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচন করবে। রাজনৈতিক দলসহ সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। নিরপেক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা, নির্বাচন পরিচালনায় আইন ও বিধি-বিধান জানা দরকার। আপনারা নির্বাচন কীভাবে পরিচালনা করবেন সেটা জানলেও, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের জানার কথা নয়। বার বার বিভিন্ন পর্যায়ে এই ট্রেনিং দেয়া হয়ছে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আপনারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনারা তাদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ দেবেন।
প্রশিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তারা রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। তারা থাকেন মাঠে, তাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। অনেক সময় তীর্যক কথা বলতে পারে, কিন্তু নেয়া যাবে না। তারা প্রশ্ন করবে, জানতে চাইবে সেটি তাদের বুঝাবেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যারা আছেন তাদের সমস্যাগুলো বুঝতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো দেখতে হবে। আগে এটি ছিল না এখন সেটা করতে হবে। তাদের প্রশ্ন শুনে ধৈর্য্য ধরে উত্তর দিতে হবে।