উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: প্রকৃতিতে শীত ঝেঁকে বসায় খেজুরগাছ থেকে মধুরস আহরণ শুরু হয়েছে। গ্রামবাংলার ঐহিত্যের প্রতীক খেজুর রস ঘিরে গ্রামীণ জনপদে শুরু হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। রসের পাশাপাশি নড়াইলের হাটবাজারে বিক্রি হচ্ছে খেজুর গুড়ের পাটালি। গুড়ের ম ম গন্ধে ভরপুর হাটবাজারগুলো। এ রস ও গুড় দিয়ে পাড়া-মহল্লায় তৈরি হচ্ছে নানা প্রকার পিঠাপায়েস। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, নড়াইলের আমাদা গ্রামের গাছি জামাল শেখ বলেন, এ বছর ৮০টি খেজুর গাছ তুলেছেন (রস উপযোগী) তিনি। অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি থেকে ফালগুন মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত খেজুর রস সংগ্রহ করা যায়। কয়েকদিন আগে রস থেকে গুড় উৎপাদন শুরু হয়েছে। নড়াইলের চারিখাদা গ্রামের হালিম মোল্যা বলেন, কোনো প্রকার ভেজাল ছাড়াই আমরা বাড়িতে গুড় তৈরি করি। প্রতি কেজি পাটালি গুড়ের মূল্য রাখা হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। আর এক ঠিলা (ভাড়) রস বিক্রি করি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। নড়াইলের রূপগঞ্জ ও লোহাগড়ার বাজারের কয়েকজন গুড়বিক্রেতা বলেন, স্থানীয় গাছিদের খেজুর গুড় ছাড়াও যশোর ও উত্তরা লের গুড় নড়াইলের হাটবাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে। গুড়ের ম ম গন্ধে ভরপুর হাটবাজারগুলো। বাজারে পাটালি ও জমাটবাঁধা গুড়ের চাহিদা বেশি। নড়াইলের কালনাঘাটের গুড় বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, বাজারের গুড় চিনিমিশ্রিত কিনা তা সহজে বোঝা যায় না। তাই বিক্রির সময় শতভাগ নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। নড়াইলের লোহাগড়ার ঈশানগাতী গ্রামের আবেদা সুলতানা ও নড়াইল পৌর এলাকার মহিষখোলা গ্রামের রুমা খাতুন, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বলকে জানান, খেজুর রস ও গুড় দিয়ে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে রসচিতই, পুলি, ভাপা, হাতসেমাই পিঠা এবং পায়েস তৈরি হচ্ছে। নড়াইলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের নড়াইলের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায়, আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বলকে বলেন, জেলায় ১১৫ হেক্টর জমিতে খেজুর গাছ রয়েছে। এ বছর সাড়ে ৯শ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।