উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: নড়াইলের মধুমতি, চিত্রা, নবগঙ্গা, কাজলাসহ ১০টি নদী বেষ্টিত নড়াইল জেলা। এ জেলায় ছোট-বড় ৫৭টি বিল রয়েছে। এক সময় শতাধিক খালের অস্তিত্ব থাকলেও দ্রুত গতিতেতা দখল হয়ে যাচ্ছে। প্রভাবশালীরা কয়েক বছর ধরে এসব খালে বাঁধ দিয়ে মাছের চাষ করছে। তারা যাতায়াতেরও পথ তৈরি করতে গিয়ে খাল চিরতরে বন্ধ করে দিচ্ছে। এসব খাল ও উন্মুক্ত জলাশয় থেকে বর্ষাকালে হাজার হাজার মানুষ মাছ ধরে, শাপলা,কলমি শাক তুলে জীবিকা নির্বাহ করে এবং এসব জলাশয়ে পাটের আঁশ ছাড়িয়ে বেকারত্বদূর করে থাকে। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, চিত্রা নদী থেকে চানপুর পর্যন্ত খালটি দখল হয়ে গেছে। শাহাবাদ পীর সাহেবের বাড়ীর পূর্ব পাশ দিয়ে চিত্রা নদী থেকে একটি খাল ধোন্দা-ময়েলখালি বিলে গিয়ে মিশলেও অনেক জায়গা ব্যক্তি দখলে চলে গেছে। সীতারামপুরের কৃষক শিশুপল বিশ্বাস বলেন, ৪ বছর পূর্বে সীতারামপুর ব্রিজ নির্মাণের সময় সীতারামপুর খালের পানি প্রবাহ বন্ধ করা হয়। ব্রিজটি চালু হলেও পানি প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে নিচু নিচু জায়গায় জলাবন্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় একশ’ একর জমির রবি ও বোরা আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। সরকার সম্প্রতি দেশের ১৯ জেলার ১৬৯টি উপজেলার বিভিন্ন নদী ও খাল খনন করতে একনেকে একটি প্রকল্প পাশ করেছে। নড়াইলসহ খুলনা বিভাগের ৭টি জেলায় খাল খনন করা হবে। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। তবে নড়াইল বিএডিসি (সেচ) বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী রকিবুল হোসেন বলেন, আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। এখনও তালিকা তৈরী হয়নি। আগামি বছর থেকে কাজ শুরু হবে ।ডিসি আনজুমান আরা বেগম বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি। এ ব্যাপারে কিছু মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
খবর৭১/ইঃ