খবর ৭১: কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টায় ১০৭ দিন পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তির পেয়েছেন তিনি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুর রহমান বলেন, আদালত থেকে দেয়া জামিন আদেশের কপি পৌঁছার পর শহীদুলকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার বিকালে প্রথমে জামিনের যে কাগজ আমাদের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল সেটায় ঠিকানা ভুল ছিল। পরে সেটা আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই তার স্বজনরা পৌঁছে দেন। এরপর যাচাই বাছাই শেষে রাত তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মুক্তির পর তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় শহিদুল আলমের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শহিদুলের মুক্তির মধ্য দিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এখনো দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে যায়নি।
এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিননামার ভুল সংশোধন করে ফের কারাগারে পাঠানো হয়। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ডেসপাস শাখা থেকে এ জামিননামা পুনরায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জায়েদুর রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে শহিদুল আলমের জামিননামা দাখিল করা হলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম জামিননামা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কিন্তু জামিননামায় ঠিকানা ভুল থাকায় কারা কর্তৃপক্ষ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে তা সিএমএম আদালতে ফেরত পাঠায়।
গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দিকে শহিদুল আলমের হাইকোর্টের জামিনের আদেশ ঢাকার সিএমএম আদালতের নেজারত (আদান-প্রদান) শাখায় আসে।
গত ১৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় হাইকোর্ট শহিদুল আলমকে জামিনের আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা যায়, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় শহিদুল আলম আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে, এ অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনে মামলা করে পুলিশ।