খবর ৭১ঃ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসনে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীসহ সবার পছন্দের প্রার্থী মেধাবী ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া।
জানা যায়, ঢাকা-১৪ আসনটি দারুসসালাম, শাহআলী, রুপনগর, মিরপুর ও সাভাররে একাংশ নিয়ে গঠিত। এই আসনটি বর্তমানে ক্ষমতাসীনদল আওয়ামীলীগের দখলে। আসনটি পুনরুদ্ধার করতে ব্যাপক ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এই সহ-সভাপতি।
ইতিমধ্যে তিনি নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করে জমা দিয়েছেন। পাশাপাশি দল থেকে মনোনয়ন পেতে নিরালসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
এই ছাত্রনেতা ১৯৯৮ সালে ওর্য়াড পর্যায়ে ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে জড়ান তরুন এ ছাত্রনেতা। তৃণমূল থেকে উঠে আসা মেধাবী এ ছাত্রনেতা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ-দফতর সম্পাদক, দফতর সম্পাদক ও সর্বশেষ কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগে পিএইচডি গবেষণারত এ তরুন নেতা।
তিনি এলাকার সাধারণ মানুষের সুখে- দুঃখে সবসময় এগিয়ে এসেছেন। নির্বাচনী এলাকায় রয়েছে তার ব্যাপক পরিচিতি।স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে এলাকায় সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে রয়েছে তার সক্রিয় অংশ গ্রহণ।
আন্দোলন সক্রিয় অংশগ্রহনের কারণে বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার কারারুদ্ধ হন জনপ্রিয় এ ছাত্রনেতা। জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন ‘আমার বাবা একজন মুক্তযিোদ্ধা ছলিনে। আমি বিএনপির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জড়িত।
মূলত বাবার রাজনতৈকি সম্পৃক্ততা থেকেই জাতীয়তাবাদী দলের সঙ্গে আমার আত্মিক সর্ম্পক। একাদশ নির্বাচনে এই আসনে যারা বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী তাদের মধ্যে অন্যতম ত্যাগী তরুন এ নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া।
সুখে-দুখে জনতার পাশে থাকা, আর দলের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে বারবার হামলা-মামলা ও নানান নির্যাতনের শিকার এবং দলীয় কর্মকান্ড ও আন্দোলনে অন্যতম সাহসী ভূমিকা পালনকারী জিয়াউর রহমান জিয়া কে নিয়ে ঢাকা ১৪ আসনের দলীয় নেতা-কর্মীরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
বিভিন্ন ইতিবাচক কর্মকান্ড আর বিচক্ষণ নেতৃত্বগুণে ইতিমধ্যে এলাকা বাসীর আস্থা ও ভালাবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন । দলীয় কর্মসূচির পাশা-পাশি সামাজিক ও সেবামূলক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয়ভাবে যোগ দিতে দেখা গেছে। এছাড়াও নিজ নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানা গেছে। অন্যদিকে এই নির্বাচনী এলাকার জনগণও তাকে সাদরে গ্রহণ করছেন বলেও জানিয়েছে একটি সূত্র।
এ ব্যাপারে ঢাকা ১৪ আসনের অনেকেই বলেন, কর্মী বান্ধব নেতা জিয়া এ আসনের জনসাধারণকে যেভাবে বুকে জড়িয়ে নিয়ে, তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন, তা সত্যি অভূতপূর্ব। এছাড়া সে হাসি মুখে অনেকেরই মন জয় করে নিয়েছেন। তাই আমরা তাকেই আগামীতে সংসদ নির্বাচনে এই আসনের এমপি হিসেবে পেতে চাই।
এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রনেতা জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাদের আশা-আকাঙ্খার কথা জেনেছি। স্বাধ্যমত তাদের সেবা করেছি। আর দলের পক্ষে কাজ করতে গিয়ে আমি বারবার হামলা-মামলা ও নানান নির্যাতনে স্বীকার হয়েছি। তার পরেও দলীয় কর্মকান্ড ও আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা পালন করেছি। তবে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় তাহলে বিজয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী। আর ইনশাআল্লাহ, মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারেও আমি আশাবাদী। সব সময় আন্দোলন কর্মসূচিতে থাকার চেষ্টা করেছি। যদি দল সুযোগ দেয়, সফল হতে পারব এ বিশ্বাস নিয়েই কাজ করছি।
এবার দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদী স্থানীয় নেতাকর্মী ও তার সমর্থকরা। একজন বলেন, জিয়া ভাই নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিসহ পথসভা, মতবিনিময় ও গণসংযোগ এবং সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন। তিনিই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন।তাই দলের স্বার্থে এমন ত্যাগী ও জনপ্রিয় তরুণ নেতাকেই মনোয়ন দেয়া প্রয়োজন।