সুকুমল কুমার প্রামানিক, রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় তৃনমূল স্তরের অসহায় অতিদরিদ্র ৩৮৫ টি পরিবার মাধা গোজার ঠাই পেয়েছেন। এই প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আর মাত্র কিছু দিনের মধ্যে ঘরের নির্মান কাজ শেষ হবে।
‘জমি আছে ঘর নেই’ ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে যেসব পরিবারের বসত বাড়ি করার মত জমি আছে কিন্তু বসত ঘর তৈরি করার মত আর্থিক অবস্থা নেই। এমন ৩ শত ৮৫ টি পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া প্রায় হয়ে গেছে। এই প্রকল্পের কাজে টিন, ইট, খোয়া, কাঠ, বালু, রড়, সিমেটসহ নির্মান কাজে ডিজাইন মেতাবেক সব উন্নত মানের সামগ্রী ব্যাবহার করে এই প্রকল্পের কাজ সরকারী নিয়ম অনুয়াযী শতভাগ সঠিক ভাবে করা হচ্ছে। আর এ প্রকল্পে কোন অনিয়ম করা হয়নি বলে দাবি করেছেন সংলিষ্টরা। সাবেক রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোনিয়া বিনতে তাবিবের সভাপতিত্বে এই গৃহ নির্মাণ কাজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি ইউনিয়ন অসহায় অতিদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দ পেয়েছেন। বরাদ্দ প্রাপ্ত ইউনিয়ন গুলো হলো, সদর ইউনিয়নে ৬৫ টি, কাশিমপুর ইউনিয়নে ৭৯ টি, কালিগ্রাম ইউনিয়নে ৯৬ টি, একডালা ইউনিয়নে ৫৯ টি ও বড়গাছা ইউনিয়নে ৮৬ টি ঘর বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। আর ৩ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা দিয়ে এই ৩ শত ৮৫ টি ঘর নির্মাণের কাজ করা হচ্ছে। একটি পরিবারকে একটি করে গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি গৃহ নির্মানে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ।
বরাদ্দ প্রাপ্ত প্রতিটি ইউনিয়নে গৃহ নির্মাণ কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ হয়েছে। আর মাত্র কয়েক দিনে মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকার্তা সোনিয়া বিনতে তাবিবের সভাপতিত্বে ঘর নির্মানের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর এই গৃহ নির্মান কাজের তত্ত্বাবধান করেছেন রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান।
সরকারি খরচে নিজের ঘরে থাকার স্বপ্ন কখনো দেখেনি বলে অভিমত প্রকাশ করেন অনেক অসহায় অতিদরিদ্ররা। এই ধরনের উদ্যোগে সুবিধা ভোগীরা সুন্দর ঘর পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। নির্মিত প্রতিটি ঘরে সরকারী ডিজাইন মোতাবেক ঘর তৈরি করা হচ্ছে। টিনসেডের মেঝে পাঁকা ঘর নির্মান করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘরের সাথে আধা পাকা লেট্রিনও দেয়া হয়েছে।
১নং খট্টেশ্বর রাণীনগর সদর ইউনিয়নের পশ্চিম বালুভরা গ্রামের সুবিধাভোগী মোছা: আঙ্গুর বিবিসহ আরো অনেকেই বলেন, আমাদের জায়গা ছিলো কিন্তু ঘর করার মত কোন অর্থিক অবস্থা ছিলোনা। এখন বিনা খরচে সরকারের কাছ থেকে ঘর পেয়ে আমরা খুব আনন্দিত।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান বলেন, এই উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৩৮৫ টি ঘর নির্মানের কাজ সরকারী নিয়ম অনুয়াযী শতভাগ সঠিক ভাবে কাজ করেছি। ইতি মধ্যেই ঘরের কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ। আশা করছি আর কিছু দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নিজ তহবিল থেকে দেশব্যাপী যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। মূলত যাদের জায়গা আছে কিন্তু বাড়ি নির্মাণ করার মতো সামর্থ নেই। এই উপজেলায় সেই সব ৩৮৫ টি দরিদ্র পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে বসবাস করার মতো বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।#