নড়াইলে অগ্নিকান্ডে চারটি ঘর পুড়ে ছাই পবিত্র কোরআন শরিফ অক্ষত

0
1011

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি■: নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের পেড়লী গ্রামে অগ্নিকান্ডে তিনটি পরিবারের চারটি ঘর ও আসবাবপত্রসহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হলেও পবিত্র কোরআন শরিফ দুটি অক্ষত আছে। শুক্রবার দিনগত রাত ১২টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বিস্তারিত আমাদের নড়াইল জেলা প্রতিনিধি উজ্জ্বল রায়ের রিপোর্টে, জানা গেছে, পেড়লী গ্রামের দরিদ্র কৃষক আল আমিন মোল্যার রান্না ঘর থেকে অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত ঘটে। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়লে আল আমিনের বসতঘরসহ পাশের নাজির মোল্যার বসতঘর ও শাহীন মোল্যার একটি রান্না ঘর পুড়ে যায। ক্ষতিগ্রস্থ নাজির মোল্যা জানান, ১২টার দিকে তাদের তিনটি পরিবারের সদস্যরা খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১১টার দিকে আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। তাড়াহুড়া করে সবাই ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তবে ঘরের মধ্যে থাকা ছাগল ও হাসমুরগি ও অন্যান্যা মালামাল বের করার কোন সুযোগ হয়নি। এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে আধা ঘন্টার চেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে পানি দিয়ে পুরোপুরি আগুন নেভানো সম্ভব হয়। আগুনে আল আমিনের একটি ছাগল ও বেশ কয়েকটি হাস-মুরগিসহ তিনটি পরিবারের সহায় সম্বল সবকিছুই পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ চার লাখ টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবি করেন। নড়াইল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আহাদুজ্জামান, নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে জানান, অগ্নিকা-ের খরব শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এতে ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে’। এদিকে নাজির মোল্যার ঘরে তার সন্তানের বই খাতার পাশাপাশি দুটি পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ছিল। বইখাতা গুলি এবং কোরআন শরিফ রাখার জন্য কাঠের তৈরি রেহাল পুড়ে গেলেও কোরআন শরিফ দুটি অক্ষত আছে। কোরআন শরিফের কোনো অক্ষরই পোড়েনি। নড়াইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শফিউল্লাহ বলেন, আল্লাহপাক পবিত্র কোরআন শরিফ নাজিল করেছেন। তিনিই তার রক্ষাকারী। মানুষের ঈমান আমল নষ্ট হতে চলেছে। এখনই আল্লাহর দেওয়া বিধান মেনে চলে ঈমান আমলকে মজবুত করা প্রয়োজন’।#

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here