তালা অফিস:
সাতক্ষীরা তালায় ইট ভাটা বন্ধের সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ভাটা চালু রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১০ অক্টোবর সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জোরত শাখার স্মারক নং ০৫.৪৪.৮৭০০.০০৫.২০.০৩০.১৮ ডেপুটি কালেক্টর দেওয়ান আকরামুল হক উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা (স্বরস্বসতী ঘাট) এলাকার মেসার্স নূর ব্রিক্স’র কার্যক্রম বন্ধে চিঠি দেয়। তবে ভাটা মালিক ঐনির্দেশনা অমান্য করে চলতি মৌসুমে ভাটার কার্যক্রম চালু রেখেছে।
এরআগে নূর ব্রিক্সের স্বত্ত্বাধিকারী সৈয়দ তানভির মোহাম্মদের কাছ থেকে পাটকেলঘাটার জুজখোলার মৃত সাজ্জাত আলী শেখের ছেলে মোঃ খায়রুল ইসলাম ভাটাটি এফিডেভিটের মাধ্যমে ক্রয় করে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে। জেলা প্রশাসকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তদন্ত করে নানা সংকট দেখিয়ে নূও ব্রিক্স লাইসেন্স নং ১৪/২০০৩ বাতিল করে লাইসেন্সের মূল মালিক সৈয়দ গোলাম মোস্তফাকে চিঠি দেয়।
এদিকে বর্তমান ভাটা মালিক মূল ভাটার নাম পরিবর্তন করে এমএনবি নামে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভাটাটি চালু রেখেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,নূর ব্রিক্সের স্থলে এমএনবি লিখে খায়রুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবৎ কপোতাক্ষের ভেড়ী বাঁধের মাটি কেটে ইট নির্মাণ করে আসছে। শুধু এখানেই শেষ নয়। তারা ইট পুড়াতে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইট পুড়াতে সেই প্রথম থেকে কয়লার পরিবর্তে জ্বালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহার করে আসছে।
সূত্র জানায়, কপোতাক্ষের খনন পরবর্তী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৪৮ ফুট প্রস্থ ও ৩৫ ফুট উচ্চতায় নির্মাণ করে গেলেও বর্তমানে ঐ এলাকায় মাত্র ৫/৬ ফুট ভেড়ি রয়েছে। তাদের দাবি,বিভিন্ন সময় ভাটা কতৃপক্ষ রাতের আঁধারে বেড়ি বাঁধের ঐ মাটি কেটে ইট নির্মাণ করেছে।
কপোতাক্ষ উপকূলীয় এলাকাবাসীর দাবি, ২৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে খননকৃত কপোতাক্ষের বেড়িবাঁধের অবাধে মাটি কর্তনের ফলে যেকোন সময় জোয়ারের উপচে পড়া বা বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। এমন অবস্থায় বিষয়টি তদন্তপূর্বক জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে এম এন ব্রিকস এর ম্যানেজার গিযাস উদ্দীন বলেন, ভাটার জন্য নতুন করে অনুমতি নেওয়ার জন্য চেষ্টা চলছে। এম.এন ব্রিকস মালিক খায়রুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন দিলে ফোনটি রিসিফ করেনি। তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন জানান,তার কাছে এধরণের কোন চিঠি আসেনি। আসলে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।