বাগেরহাট প্রতিনিধি:
ফকিরহাট উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের রক্ষা বাঁধটি চরম ঝুকি পূর্ণ হয়ে পড়েছে। আশংকায় দিন কাটছে ৬ গ্রামের কৃষকদেও, কখন যেন বাঁধ ভেঙ্গে নষ্ট হয়ে যায় তাদের স্বপ্নের আমন ফসল। উপজেলার লখপুর ছোট খাজুরায় পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গুপিয়া নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত রক্ষা বাঁধ ঝুকি পূর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। জোয়ারের পানির তীব্র চাপে যে কোন মুর্হুর্তে বাঁধ ভেঙ্গে নদীর উপকুলীয় অ ল তলিয়ে ৬টি বিলের আমন ধান সহ শিল্প প্রতিষ্টানের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে।এলাকা বাসি বলছে ঝুকি পূন্ন এই বাঁধের বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য জেলা পানি উন্নয়ন কর্মকর্তাকে জানালে ও এখনো তা পূণঃ সংস্কারের ব্যাবস্থা নেওয়া হয় নাই। আর অতিদ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ডের এই রক্ষা বাঁধ পূনঃ সংস্কার করা না হয় তবে খুলনা-মংলা মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে, গুপিয়া নদীর তীব্র ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে খাজুরার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্মিত রক্ষা বাঁধ। এই বাঁধের উপর দিয়ে ফকিরহাটের অর্ধশতাধিক গ্রামের মানুষের সাথে বটিয়াঘাটা ও রুপসা উপজেলার সকল মানুষের চলাচল। কিন্তু নদীটির তীব্র ভাঙ্গনে জনগনের চলাচল চরম ভাবে বিঘিœত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলেছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড গত কয়েক বছর আগে প্রায় ২০লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে বাঁধটি সংস্কার করে। কিন্তু যেনতেন ভাবে দায়সার গোছের সেটি নির্মান করায় তা ২মাস টেকসই হয়নি। এর পর লখপুর ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ১লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাঁধটি পুনঃ সংস্কার করা হয়, কিন্তু সেটিও স্থায়ী হয়নি। খাজুরা গ্রামের মোঃ শামসের আলী (৭৮),মোস্তাব আলী (৬৭), হালিম শেখ (৫৫), মাহাবুর শেখ (৬৭) ও জাকির ফকির (৫৫) সহ একাধিক ব্যাক্তিরা বলেন, এই বাঁধের উপরে জাবুসা খাজুরা কুদির বটতলা ও তিলক বিল সহ প্রায় ৬টি বিল রয়েছে। আর সেই বিলে এখন হাজার হাজার হেক্টর জমিতে স্থানীয় চাষিরা ধান পাট ও সবজির চাষ করেছেন। শুধু তাই নয় বিলের উপরে শতশত শিল্প প্রতিষ্টান মাছ কোম্পানী ও হাসপাতাল এবং কলকারখানা রয়েছে। এই বাঁধ ভেঙ্গে গেলে সেই শিল্প প্রতিষ্টানে কাজ কর্ম চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। তারা বলেন, লখপুর বাহিরদিয়া-মানসা পিলজংগ বেতাগা শুভদিয়া ইউনিয়নের সকল পানি এই ১০গেট ও ৬গেট দিয়ে সরবরাহ হয়ে থাকে। তাছাড়া বটিয়াঘাটা উপজেলার নারায়নখালী বাইনতলা ঝিনাইখালী আমেরপুর ও রুপসা উপজেলার তিলক কুদির বটতলা ও জাবুসা গ্রামের সকল পানিও এই ২গেট দিয়ে সরবরাহ হয়ে থাকে। ফলে পানি চাপ এই তিনটি গেটের মোহনা খাজুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের উপর তুলনা মুলক ভাবে বেশি পড়ে থাকে। সে কারনে এটিতে ঝুঁকিও পড়ে বেশি। আর এই ঝুকির কারনে বাঁধ এখন যায় যায় অবস্থা। স্থানীয় ইউপি সদস্য আলী আহম্মদ বলেন, ইতি মধ্যে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ীর ৪এর ৩অংশ নদীতে ভেঙ্গে গেছে। তাছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রক্ষা বাঁধের যে রাস্তা জনগন ব্যাবহার করেন তার অধিকাংশ নদীতে ভেঙ্গে যানবাহনতো দুরের কথা পায়ে হেটেও চলাচল করাও অসম্ভব। এব্যাপারে লখপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল হোসেন বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ২০লক্ষ টাকা ব্যায়ে নাম মাত্র বাঁধটি কিছুটা সংস্কার করে যা স্থায়ী হয়নি। তার পর তিনি ১লক্ষ টাকা ব্যায়ে বাঁধটি আবারও মেরামত করেন। কিন্তু জোয়ারের পানির চাপ এতটা তীব্র যে তা স্থায়ী হচ্ছে না। অতিদ্রুত যদি বাঁধটি পূনঃ সংস্কার করা না হয় তাহলে তিন উপজেলার শিল্প প্রতিষ্টান কৃষি ফসল হাসপাতাল ও খুলনা-মংলা মহাসড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে