খবর ৭১: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের উপযুক্ত সময় নির্ভর করছে একটি অবাধ, স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির উপর। আর এটাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে জাতিসঙ্ঘ। শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত ব্রিফ্রিংয়ে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন পরিস্থিতি এবং নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা প্রসঙ্গে বিশ্বসংস্থার এমন অবস্থান তোলে ধরেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্থোনিও গুতেরেসে’র ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক।
প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা জানতে চান- ক্রিসমাস (বড়দিন) শুরুর প্রাক্কালে আগামী ২৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। দেশটির প্রধান বিরোধীদলগুলো নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সরকারের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সংলাপের কোনো সুরাহার অপেক্ষা না করে এবং বিরোধীদলগুলোর দাবি-দাওয়ার কোনোটাই গ্রহণ না করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আগামী নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলনেতা বেগম খালেদা জিয়া এখনো জেলে আটক রয়েছেন। বিরোধীদল এবং সুশীল সমাজ ইতিমধ্যে এরকম তফসিল ঘোষণার বিরোধিতা করেছে। কোনো প্রকার তফসিল ঘোষণা করার আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে তারা।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার এ বিষয়টিতে জাতিসঙ্ঘের অবস্থান কি? জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব কি এ নিয়ে অবগত রয়েছেন? কারণ সংস্থাটি সবসময়ই একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগাদা দিয়ে আসছে।
জবাবে মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, “আমরা দেশটির সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অবগত রয়েছি এবং সার্বিক বিষয় অব্যাহতভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”
তিনি বলেন, “জাতিসঙ্ঘের অগ্রাধিকার হচ্ছে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন যাতে সব দলের অংশগ্রহণমূলক, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ হয়। সে বিষয়টিতে নজর রাখছি।”