মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকে ঃ গৃহস্থলী জ¦ালানী এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের দাম হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন সৈয়দপুরের ভোক্তারা। বর্তমানে বাজারে কোম্পানী ভেদে প্রতি সিলিন্ডারের দাম ১০০ টাকা থেকে ১৯০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। অথচ কিছুদিন আগেও এলপিজি সিলিন্ডারের দাম স্বাভাবিক ছিল। বাজারে গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অস্থির হয়ে ওঠার সাধারণ ভোক্তারা উৎকন্ঠায় ভুগছেন।
স্থানীয় বাজারে সূত্রে জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলায় জ¦ালানী কাঠ(খড়ি) দূর্মূল্য হয়ে ওঠায় গৃহস্থলী জ¦ালানী হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। কাঠ খড়ি চেয়ে এলপিজি গ্যাস ধোঁয়াহীন ও আরামদায়ক হওয়ায় দিন দিন এর চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ভোক্তাদের মাঝে গৃহস্থলীর জ¦ালানী হিসাবে ১২ কেজি ও ১৫ কেজি ওজনের এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের চাহিদা সর্বাধিক। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন কোম্পানি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজারে এখন কোম্পানী ভেদে ভোক্তা পর্যায়ে ৯৬০ থেকে ৯৮০ টাকার ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডার ১০৭০ টাকা থেকে ১০৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে ১১৮০ টাকার ১৫ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডার ১৩৫০ থেকে ১৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সিলিন্ডার প্রতি অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে শহরের একজন এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কোম্পানী থেকে দাম বাড়িয়ে দেয়ায় তাদের বাড়তি দামে সিলিন্ডার বিক্রি করতে হচ্ছে। দাম বাড়লেও তাদের লাভ হচ্ছে সামান্যই। তবে লাভবান হচ্ছে কোম্পানীগুলো। তিনি আভাস দিয়ে বলেন, বাজারের বর্তমান দামও হয়ত স্থির থাকবে না। দাম আরেক দফা বাড়তে পারে। তিনি এলপিজি গ্যাসের বাজার পরিস্থিতি দেখে এমন মন্তব্য করেন। তার মতে, দামের বিষয়টি সবসময় কোম্পানিই নির্ধারণ করে থাকে। গত মঙ্গলবার শহরের সিনেমা সড়কে এলপিজি দোকানে গ্যাস কিনতে আসা কয়েকজন ভোক্তার সঙ্গে কথা হয়। এদের একজন নতুন বাবুপাড়া এলাকার জহির উদ্দিন জানান, চাকুরীর সীমিত আয়ে চলতে হয় আমাদের। এর উপর দফায় দফায় সিলিন্ডারের দাম বাড়লে বিপাকে পড়তে হয়। প্রতিকারেরও কোন জায়গা নেই আমাদের। তাই মুখবুঝে ৯৮০ টাকার সিলিন্ডার ১০৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তিনি ভোক্তাদের অধিকার রক্ষায় সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দেন।