হাবিবুর রহমান নাসির ছাতক প্রতিনিধিঃ
ছাতকে ভ্রামমান আদালতের অভিযানে ৫ শতাধিক স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গোবিন্দগঞ্জ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সুনামগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আল আমিন সরকার। উচ্ছেদ অভিযান চলাকালে র্যাব-৯ এর সদস্য, থানা ও হাইওয়ে পুলিশ, সওজ, ভুমি অফিস এবং পল্লী বিদুতের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত গোবিন্দগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের উভয় পাশ দখল করে স্থায়ী-অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে বহু দোকানপাট গড়ে উঠেছে। এর আগে একাধিকবার এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলেও পরবর্তিতে আবারো কৌশলে স্থাপনা তৈরীর মাধ্যমে সরকারী ভুমি দখলে নিয়ে ব্যবসা-বানিজ্য করে আসছে দখলদাররা। ফলে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ও ছাতকের প্রবেশ মুখে প্রায় দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকে। সড়কসহ সড়কের আশপাশ ব্যবসায়ীদের দখলে থাকায় এখানে দীর্ঘদিন ধরে সাধারন মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সম্প্রতি সরকারী অর্থায়নে সড়ক সংস্কার ও প্রশস্তকরনের চলমান কাজ করার সুবিধার্তে স্ব উদ্যোগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দখলদারদের নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু এতে সরকারী ভুমি থেকে অনেকেই স্থাপনা সরিয়ে না নেয়ায় বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় বেশ কয়েকটি স্থায়ী স্থাপনা বোল ড্রোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিতে দেখা গেছে। এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ছাড়াও সওজ ছাতকের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এএসএম সাইফুল ইসলাম, উপ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রমজান আলী, গোলাম মাওলা, র্যাব-৯এর ডিএডি আলাউদ্দিন, জয়কলস হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ রুনু মিয়া, পীরপুর তহশীল অফিসের সহকারী তহশীলদার আব্বাস উদ্দিন, পল্লী বিদ্যুতের রায়মনসহ সরকারী কর্মকর্তা, র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ম্যাজিষ্ট্রেটের নির্দেশ অমান্য করায় এক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবসায়ীকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
খবর ৭১/ই: