মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) থেকে
রংপুর বিভাগের ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালান ধরা পড়েছে সৈয়দপুরে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের খালেদ মার্কেটের সামনে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১৩ সিপিসি-১ দিনাজপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল ইয়াবার ওই চালান আটক করে। এ সময় বাবু রায় (৪০) নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে হিরা (৩৩) নামে অন্য মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সৈয়দপুর থানায় মামলা দায়েরের পর আসামী বাবু রায়কে গতকাল বুধবার নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-১৩ সিপিসি-১ দিনাজপুর ক্যাম্পের সূত্র জানায়, পার্বতীপুর থেকে সৈয়দপুর ইয়াবার বড় চালান নিয়ে মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রবেশ করেছে। সেখান থেকে ওইসব ইয়াবা বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হবে। সোর্সের দেয়া এমন সংবাদে র্যাবের দিনাজপুর ক্যাম্পের অভিযানিক দল মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে সৈয়দপুরে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যায় মেজর সোহেল মাহমুদ প্রিন্সের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কের খালেদ মার্কেট সংলগ্ন জেনিথ সুজ’র সামনে মোটর সাইকেল চালক বাবু রায়কে (৪০) আটক করে। এ সময় তার সাথে থাকা কসমেটিক্স সামগ্রীর কার্টুনে ইয়াবার অসংখ্য প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপর মাদক ব্যবসায়ী হিরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া ইয়াবার ওই চালানে ৭ হাজার ৯১০টি ইয়াবা ট্যাবলেট ছিল বলে র্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক এনামুল হক জানান। এ ঘটনায় র্যাবের উপ-পরিচালক এনামুল বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় পার্বতীপুর উপজেলার নতুন বাজার এলাকার আশুতোষ রায়ের পুত্র বাবু রায় ও একই এলাকার আফজালের পুত্র হিরাকে (৩২) আসামী করা হয়। তবে হিরাকে পলাতক দেখানো হয় ওই মামলায়।
র্যাব-১৩ রংপুরের মিডিয়া পরিচালক ও সহকারী পুলিশ সুপার আহসান হাবিব জানান, রংপুর বিভাগে র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হওয়া ইয়াবার এটি সবচেয়ে বড় চালান। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক বাবু মাদকের বড় বড় চালান বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের কথা স্বীকার করেছে।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজাহান পাশা র্যাব কর্তৃক ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে জানিয়ে বলেন, আসামী বাবু রায়কে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ