খব৭১:সমুদ্র এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কোস্টগার্ডের পাশে থাকবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের কোস্ট গার্ড নিরাপদ সমুদ্রাঞ্চল গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর।’
বুধবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে হেডস অব এশিয়ান কোস্ট গার্ড এজেন্সিস মিটিংয়ের (হ্যাকগাম) একটি উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণে বিশাল সমুদ্র এলাকা। আমাদের ৯০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্র পথে হয়ে থাকে। ওই এলাকার নিরাপত্তায় অবদান রাখছে কোস্টগার্ড। তারা সমুদ্রকে নিরাপদ রাখবে এটা আমাদের প্রত্যাশা। সে জন্য আমরা তাদের সহায়তা করবো।’
এ সভার মাধ্যমে হ্যাকগাম সদস্য দেশগুলো তাদের সমুদ্রসীমা আরও নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন প্রধানমন্ত্রী।
ইতোমধ্যে দেশকে উন্নত করার জন্য অনেক কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আমরা আমাদের নদী সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিতে ডেল্টা-২১০০ নামে একটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এ লক্ষ্যে আমরা নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে কাজ করছি। যা উন্নত দেশ হতে আমাদের সহায়তা করবে।’
সমুদ্রের বিশাল জলরাশির তলদেশে খনিজ সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সম্পদ আমরা উত্তোলন করতে সক্ষম হলে আগামী কয়েক প্রজন্ম লাভবান হবে। এ সম্পদের নিরাপদ ও পরিবেশগতভাবে টেকসই উত্তোলন বাংলাদেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৪ সালে জাতীয় সংসদে আমাদের উত্থাপিত একটি বিলের মাধ্যমে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় বিরোধীদলে থাকাবস্থায় আমরা এ বিলটি উত্থাপন করেছিলাম। বাংলাদেশে এটিই একমাত্র সংস্থা যা বিরোধীদলের উত্থাপিত বিল পাশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
খবর৭১/জি