ইয়াবা (অ্যামফিটামিন), কোকেন, হেরোইন পরিবহন, কেনাবেচায় মৃত্যুদণ্ড

0
422

খবর৭১:ইয়াবা (অ্যামফিটামিন), কোকেন, হেরোইন পরিবহন, কেনাবেচা, ব্যবসা, সংরক্ষণ, উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, হস্তান্তর, সরবরাহ ইত্যাদি অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের বিধান রেখে সংসদে উত্থাপিত হয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১৮। গতকাল সোমবার বিলটি উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের ২৩তম অধিবেশনে সম্পূরক কর্মসূচিতে বিলটি উত্থাপনকালে মন্ত্রী জানান, মাদকদ্রব্যের নিয়ন্ত্রণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস, অপব্যবহার ও চোরাচালান প্রতিরোধ এবং মাদকাসক্তদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনকল্পে বিলটি আনা হয়েছে।

পরে বিলটি দুইদিনের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সংসদে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিলটি সংশ্লিষ্ট সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করা হয়। প্রস্তাবিত আইনে মাদকদ্রব্যের অপরাধের ৩৪টি তফসিল বর্ণনা করে সর্বনিম্ন এক বছর থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনের বিধান রাখা হয়েছে।

বিলে মাদকপ্রবণ জেলা সদর বা মেট্রোপলিটন এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাদক অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হয়েছে। এই ট্রাইব্যুনাল মাদক অপরাধের বিচার করবে। মাদক অপরাধে গ্রেপ্তারের পর তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো অপরাধীকে আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামিন প্রদানে বাধিত রাখা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এই আইনের অধীন অপরাধ সংঘটনে অর্থ বিনিয়োগ, সরবরাহ, মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতা দিলেও একই ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনে কোকেন, কোকো মাদক চাষাবাদ, উৎপাদন বা প্রক্রিয়াজাতকরণের ক্ষেত্রে ২৫ গ্রামের বেশি হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। আর ২৫ গ্রামের নিচে হলে কমপক্ষে দুই বছর ও সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে।

ইয়াবা বহনের ক্ষেত্রে ২০০ গ্রামের বেশি হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড অথবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। তবে ১০০ গ্রাম বা মিলিলিটার হলে সর্বনিম্ন ৫ বছর এবং সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মাদকাসক্ত ব্যক্তির ডোপ টেস্টে ইতিবাচক ফল পাওয়া গেলে কমপক্ষে ৬ মাস ও সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হবে।

বিলে বলা হয়েছে, কেউ যদি সজ্ঞানে কোনো মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনের জন্য তার মালিকানাধীন অথবা দখলি কোনো বাড়িঘর, জায়গা জমি, যানবাহন, যন্ত্রপাতি অথবা সাজসরঞ্জাম কিংবা অর্থ সম্পদ ব্যবহারের অনুমতি দেন তাহলে তিনি সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড ভোগ করবেন। এ ছাড়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত না এমন কোনো ব্যক্তির কাছে অথবা তার জায়গায় যদি মাদকদ্রব্য উৎপাদনে ব্যবহারযোগ্য কোনো যন্ত্রপাতি, ওয়াশ অথবা অন্যান্য উপকরণ পাওয়া যায় তাহলে তিনি সর্বনিম্ন ২ বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড।

বিলে আরো বলা হয়েছে, অনুমতি ব্যতীত কোনো ব্যক্তি অ্যালকোহল পান করতে পারবে না। আর চিকিৎসার প্রয়োজনে সিভিল সার্জন অথবা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের কোনো সহযোগী অধ্যাপকের লিখিত ব্যবস্থাপত্র ব্যতীত কোনো মুসলমানকে অ্যালকোহল পান করার অনুমোদন দেওয়া যাবে না।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here