খবর৭১ঃপ্রতিবন্ধী মেয়ের মুখে বিষ ঢেলে হত্যার পর একই বিষপানে মা আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার সকালে সাতক্ষীরার আশাশুনির গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গোয়ালডাঙ্গা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বাড়ির আঙিনায় পড়ে থাকা মা ও মেয়ের মরদেহ দেখতে শত শত লোক জড়ো হয়।
আত্মহননকারী মায়ের নাম শান্তি রানি মণ্ডল (৩৬)। প্রতিবন্ধী মেয়ে তমালিকার বয়স ৮ বছর। শান্তি রানি ওই গ্রামের দিনমজুর উত্তম মণ্ডলের স্ত্রী। বেদনাদায়ক এই ঘটনার সময় উত্তম মণ্ডল বাড়িতে ছিলেন না। ভোরে তিনি মাছের ঘেরে কাজ করতে যান।
উত্তম মণ্ডলের বড় মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তন্দ্রা মণ্ডল জানায়, তার বোন তমালিকা মণ্ডল জন্মগত শারীরিক প্রতিবন্ধী। বিভিন্ন সময়ে সে বাড়ির জিনিসপত্র ভাঙচুর ও নষ্ট করত। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি চরমে উঠে।
তন্দ্রা জানায়, তার মা প্রতিবন্ধী মেয়ের আচরণ সহ্য করতে না পেরে সোমবার সকালে খাবারের সঙ্গে তামলিকাকে তরল কীটনাশক খাওয়ান। তমালিকা যখন বিষক্রিয়ায় ছটফট করছিল তখন তার মা শান্তি রানি একই বিষপান করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে মা ও মেয়ের দেহ নিথর হয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা স্থানীয় ডাক্তারকে ডেকে নিয়ে আসেন। কিন্তু ততক্ষণে তারা দুজনই মারা গেছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন প্রতিবন্ধী মেয়েকে কেন্দ্র করে ও সাংসারিক বিষয় নিয়ে দরিদ্র এই পরিবারের স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এ কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তারা জানান।
আশাশুনি থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মা ও মেয়ের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার নেপথ্য কারণ কী তা জানাতে পারেননি ওসি।
খবর৭১/ইঃ