সুকুমল কুমার প্রামানিক রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর-কালীগঞ্জ সড়কের মাঝে মাঝে খোয়া উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানা-খন্দ গর্ত হয়ে সড়কটির বেহাল দশা হয়েছে। ভাঙাচোরা খানা-খন্দ গর্তে ভরা এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকাবাসীর। প্রায় ১০ কিলোমিটার এই পাকা সড়কের বেহাল দশা দেখা দিয়েছে।
সড়কটি চলাচলের উপযোগী করতে স্বল্পকালীন কিছু ইটের পরিত্যক্ত অংশ দিয়ে ভরাট করলেও মেরামতে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে এই সড়কটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগকে গেজেটের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলার আবাদপুুকুর চার মাথা থেকে নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কালীগঞ্জ ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের পাকা কার্পেটিং উঠে যাওয়ায় বড় বড় খানা-খন্দ গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে বড় বড় গর্ত ভরাট ও রাস্তা সংস্কার না করায় মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।
দেশের উত্তরা লের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁ জেলা। এই জেলার মধ্যে রাণীনগর উপজেলা ধান চাষের জন্য বিখ্যাত। এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত নাটোর-রাজশাহী, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ দেশের বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে আবাদপুকুর হাটের দিনে ধান বোঝাই শত শত ভারি যানবাহন ট্র্যাক, ট্রাক্টর, মিনি ট্র্যাক, ভটভটি, নছিমন, অটোভ্যান চলাচল করে। এতে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার কারনে সড়কটিতে চলাচলের জন্য সমস্যা দিন দিন আরো বড় আকার ধারণ করছে। জেলা শহর নওগাঁ যাওয়ার একমাত্র নির্ভরযোগ্য সড়কটি হওয়ায় শত দুর্ভোগকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে যাত্রী ও এলাকাবাসীকে। যেন দেখার কেউ নেই।
ব্যবসায়ীসহ অনেক চালক ও যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, আবাদপুকুর থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটি অনেক দিন ধরে মেরামত না করায় প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা এখন বিপদজনক খানা-খন্দ গর্তে ভরে গেছে। এই সড়ক দিয়ে ট্র্যাক কিংবা অন্যান্য যানবাহনের চালকরা বেশি ভাড়া দিলেও যেতে চায় না। তাই আমাদের এখন অনেক দূর্ভোগ পেহাতে হচ্ছে। কবে রেহায় পাব এই দূর্ভোগ থেকে বলে জানান তারা।
নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: হামিদুল হক বলেন, সড়কটি পুন: নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্রের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগির নিয়োগ প্রাপ্ত ঠিকাদার কাজ শুরু করলে এই দুর্ভোগ কমে আসবে।
খবর৭১/ইঃ