মিরপুরের উইকেট নিয়ে মুখ খুললেন মাশরাফি

0
294

খবর৭১:যে দেশ হোম সিরিজ আয়োজন করে, তারা মাঠের পিচও নিজেদের মতো করেই তৈরি করে। ক্রিকেটাররাও জানে উইকেটের চরিত্র কী হতে যাচ্ছে।

কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্য যে, এক যুগেও শের-ই-বাংলার উইকেট বুঝে উঠতে পারলেন না মাশরাফি বিন মুর্তজা। রবিবার থেকে শুরু হতে চলা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটকে ‘অননুমেয়’ বললেন টাইগার ক্যাপ্টেন!
মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বললেন, ‘মিরপুরের উইকেট অনুমান করা খুবই কঠিন, আমরা সবাই জানি। মিরপুরের উইকেট ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ শুরু করে। আগে থেকে বলা খুবই কঠিন হবে। শুরুতেই যে স্লো হবে বা টার্ন করবে, এমন আশা অবশ্যই করছি না। ভালো উইকেটে খেলতে চেয়েছি, এখন ভালো উইকেট হলেই হয়। কিন্তু মিরপুরের উইকেট তো, আগে থেকে অনুমান করা একটু কঠিন। ‘

তিনি আরও বলেন, ‘মিরপুরের উইকেট কেন অননুমেয়? কারণ, হঠাৎ করেই আচরণ বদলে ফেলে। আপনারাও দেখেছেন হঠাৎ করে বল টার্ন করতে শুরু করে কিংবা বল নিচু হয়ে যায়।

উইকেট অননুমেয় হলেও আমরা এখানে খেলে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কারণ, বেশিরভাগ সিনিয়র প্লেয়াররা গত ১০ বছর ধরে এই উইকেটে খেলছে। ঘরোয়া ক্রিকেটেও যারা খেলছে তারা অভ্যস্ত হয়ে গেছে। উইকেট যখন আচরণ বদলাতে থাকে তখন অতিথি দলের জন্য একটু বেশি কঠিন হয়। ‘
মিরপুরের এই উইকেট নিয়ে গত বিপিএলেও অনেক কথা হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে শাস্তিও পেয়েছেন ক্রিকেটাররা। আইসিসি দিয়েছে ডিমেরিট পয়েন্ট। অদ্ভুত এই উইকেট ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। সকালে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট বিকেলে হয়ে উঠতে পারে ব্যাটসম্যানদের জন্য বধ্যভূমি। আবার উল্টো ঘটনাও ঘটে। মাশরাফির বক্তব্যে বোঝা গেল, ক্রিকেটাররা উইকেটের এই রং বদলের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করেছেন।

অধিনায়কের ভাষায়, ‘আমার মনে হয় না, এখানে আমাদের মানিয়ে নিতে কোনো সমস্যা হবে। চট্টগ্রামে সাধারণত ব্যাটিং উইকেট হয়, যদি না আপনি স্লো বা টার্নিং উইকেট তৈরি করেন। মিরপুরের উইকেট তেমন না, অনেক সময়ই দ্বিতীয় ইনিংসে অন্যরকম আচরণ শুরু করে। তবে আমি মনে করি, এতদিন এখানে খেলার পরে এমন কোনো অজুহাত না দেয়াই উচিত। তবে এখানে আমরা ২৫০/২৬০ রান করতে পারলে ওদের জন্য কঠিন হবে।
খবর৭১/জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here