খবর৭১:নভেম্বর মাসের মধ্যেই ফেসবুক-ইউটিউবে গুজব, অপপ্রচার ও মানহানিকর তথ্য নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা অর্জন করবে সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার।
আজ শনিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। সংগঠনটির সভাপতি ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সভাপতিত্বে ও শহীদ সন্তান তৌহীদ রেজা নূরের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়্যারমান মোহাম্মদ আরাফাত, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক শহীদ সন্তান ডা. নুজহাত চৌধুরী, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্সিভিস্ট ফোরামের (বোয়াফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময় এবং ব্লগার ও লেখক মারুফ রসুল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শহীদ সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়।
মন্ত্রী বলেন, আমরা আর পিছিয়ে নেই, অনেক দূর এগিয়েছি। ফেসবুক একসময় আমাদের কথায় কোনো কর্ণপাত না করলেও এখন শুনছে। আমাদের দেশীয় আইন-কানুন অনুযায়ীই তারা চলবে। আগামী মাস থেকে ফেসবুক, ইউটিউব ও গুগল নিয়ন্ত্রণ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এ মাসেই সব ধরনের ডিভাইস আসবে।
এর মাধ্যমে নির্বাচন ঘিরে অপপ্রচার, গুজব ও মিথ্যা তথ্য প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কোনো গুজব কিংবা অপপ্রচার ও মিথ্যা তথ্য প্রতিরোধে সরকার সক্রিয় থাকবে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি পাস হওয়া ডিজিটাল আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আরো কঠিন। কিন্তু আমাদের দেশে যারা এ আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আইনটি দুর্বল হয়ে গেছে। আগামী ২-৩ বছর পর আবার হয়তো দাবি উঠবে আইনটি আরো কঠিন করতে হবে। যেকোনো আইনেই ভুল প্রয়োগের সম্ভাবনা থাকে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভুল প্রয়োগও হয়, কিন্তু সে আইনটা কি বাদ দিয়ে দেওয়া হবে? আইন হলেও অপপ্রয়োগ রোধে কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও থাকবে।
এছাড়া গুজব রুখতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একটা করে প্রতিরোধ কমিটি, নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সমন্বিতভাবে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
খবর৭১/জি