খবর৭১ঃনির্বাচন কমিশন নিজেরাই বিভক্ত হয়ে পড়েছেন দাবি করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, এই সংকট আজ রাষ্ট্রের। তাই বিভক্ত নির্বাচন কমিশন দিয়ে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত ‘খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ফরমায়েশি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল কর’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জোর করে একটা দলকে ক্ষমতায় বসাতে সব প্রকার আইন কানুন করে ২০১৪ সালের মতো আরেকটা নির্বাচন করতে যাচ্ছে সরকার। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কোনো ক্ষমতা নেই। তাদের পুরোটাই নির্ভর করতে হয় সরকারের কর্মকর্তা এবং সরকারের ওপর।
‘নির্বাচন কমিশনের সচিবের কথায় মনে হয়, তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশন, আর প্রধান নির্বাচন কমিশনের কথা শুনে মনে হয়, সব চেয়ে অসহায় ব্যক্তি।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ দেশের মানুষকে বোকা ভাববেন না। সব সময় নীরব ভাববেন না। কারণ এ দেশের মানুষ বারবার নিজেদের প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে এসেছে। আবারও রাস্তায় নামবে।
তিনি বলেন, আমরা বলেছি একটা পরিবর্তন চাই। তাই বলছি দয়া করে সোজা রাস্তায় আসুন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, তার সঙ্গে আলাপ করুন, বিরোধী দলের সঙ্গে আলাপ করুন এবং দেশে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে হবে তার পথ বের করুন। এছাড়া অন্য কোনো পথের বিকল্প নেই।
ফখরুল বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ২৩ অক্টোবর একটা সমাবেশ করতে যাচ্ছিল, সরকার বলছে নাশকতা হবে, দেয়া যাবে না।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে তিনি বলেন, কারাগার থেকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানেও ন্যূনতম চিকিৎসা তিনি পাচ্ছেন না।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। বহু নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। অনেকেই ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন।
‘এভাবে একটি দলের ওপর নির্যাতন করলে কীভাবে সুষ্ঠু রাজনীতি হয়। নির্বাচনই বা সুষ্ঠু কেমনে হবে’, যোগ করেন তিনি।
জাগপার সহসভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়ার প্রধানের সভাপতিত্ব সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান প্রমুখ।
খবর৭১/ইঃ