মঈনুল হাসান রতন, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃহবিগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের জলাশয় ও হাওরে অতিথি পাখি আগমন শুরু হয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণির শিকারীদের কারণে অতিথি বিচরণ করতে পারছেনা। প্রতিদিনই শিকারীরা বক ও পেরী হাস, শালিকসহ বিভিন্ন অতিথি পাখি শিকার করে হাটে বাজারে বিক্রি করছে।বিষয়টি গণমাধ্যমের নজরে আসলে স্থানীয় পত্রিকার কয়েকজন সাংবাদিক গত বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদকে অবগত করেন।এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তার নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রিগ্যান চাকমার নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদর উপজেলার বারাপৈত এড়ালিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুইটি রাজবকসহ অতিথি পাখি শিকারের বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। সেই সাথে পাখি শিকারের বেশ কয়েকটি তৈরীকৃত ঘর বিনষ্ট করা হয়।ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র লাকসু মিয়া (৩৫), আইনুল্লাহর পুত্র জুনাব আলী (৪৫) ও ফারুক মিয়ার পুত্র মামুনুর রহমান (১৫) পালিয়ে যায়।তখন ভ্রাম্যমান আদালত লাসকুর মা খোশবানু ও মামুনুর রহমানের মা রাজবানুকে আটক করা হলে তারা ভবিষ্যতে কোন দিন অতিথি পাখি শিকার করবেনা বলে মুছলেকা দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন সদর থানার পুলিশ ও কোর্ট পেশকার বাবুল আহমেদ। এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেট জানান, অতিথি পাখি শিকার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। তারপরও শিকারীরা পাখি শিকার করছে। শিকারীদের ধরতে পারলে জেলা জরিমানা করা হবে।