নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে চার সড়ক দুর্ঘটনায় সায়মা আহম্মেদ অনন্যা (১৪) নামের এক স্কুল ছাত্রীসহ দুইজন নিহত ও অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চারটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত অনন্যা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের আরোজ আলী মোল্লার মেয়ে। সে গোপালগঞ্জ শেখ হাসিনা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী।
দুর্ঘটনায় আহত ছাত্রীর মায়ের নাম ঝর্ণা বেগম। তিনি গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর (৪,৫,৬ ওয়ার্ডের)। দুর্ঘটনায় ঝর্ণা বেগমও গুরুতর আহত হয়েছেন।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম ফারুক জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি থ্রি-হুইলার যানে করে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুরের গ্রামের বাড়ি থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে শহরের ব্যাংকপাড়ার বাসায় ফিরছিলে অনন্যা। শহরতলীর হরিদাসপুর নামক স্থানে টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস অপর একটি গাড়িকে অতিক্রম করতে গেলে থ্রি-হুইলারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অনন্যা ও তার মা-বাবাসহ অন্তত পাঁচ যাত্রী আহত হন। গুরুতর অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনন্যা মারা যায়। এ ঘটনায় আহত অনন্যার মা ঝর্ণা বেগম (৪০), ইয়াসিন (১৮), আজিম মোল্লা (৩০) ও মনিরকে (৩৫) গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
একইদিন বুধবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল আইডিয়াল কলেজের সামনে ঘোনাপাড়া গ্রামের মধূ শেখের ছেলে মো. রিফাত শেখ (১০) বাস চাপায় নিহত হয়। সে বাইসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। একই সড়কে দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ইমাদ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পোনা কলেজ বাসস্টান্ডে রাস্তার নিচে পড়ে যায়। এতে অন্তত ২৫ যাত্রী আহত হয়। এদের মধ্যে সাত-আটজনকে গুরুতর অবস্থায় কাশিয়ানী ও গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় একই সময় একই সড়কের গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার গোপালপুর বাসস্টান্ডে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বাসের ঢাকাগামী মালবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে অন্তত ১৫ জন যাত্রী আহত হয়। বাস ও ট্রাকের আহত চালকসহ বেশ কয়েকজনকে কাশিয়ানী ও গোপালগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কাশিয়ানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আজিজুর রহমান এসব দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
