খবর৭১ঃসংসদে সদ্য পাস হওয়া ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যের সমন্বয়ক, সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘সংসদে পাস করানো আইন চাইলে ফেলও করানো যায়। যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার না করা হয় তাহলে আন্দোলনের মাধ্যমে তা বাতিলে বাধ্য করা হবে।’
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কবি হাসান হাফিজের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ আবদাল আহম্মেদ, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক পারভীন সুলতানা ঝুমা ও জাহিদুজ্জামান ফারুক প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অবশ্যই থাকবে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য জাতীয় ঐক্য জরুরি। এটা কোনো দলের নয়। এটা দেশের আপামর জনগণের ঐক্য। রাস্তায় না নামলে সমস্যার সমাধান হবে না। রাস্তায় না নামলে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা পার পেয়ে যাবেন। যা ইচ্ছা তা করে পার হয়ে যাবেন। এসব কারণ বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য জরুরি।
তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তিস্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, সংবিধানের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য জাতীয় ঐক্য দরকার। বর্তমানে সংবিধান কোনো রকমে বেঁচে আছে। এর কথা মানা হচ্ছে না।
ড. কামাল বলেন, ‘সাম্প্রতিক নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের আন্দোলনে পুলিশের পাশে সাদা পোশাকধারী লাঠিয়াল কারা, জনগণকে লাঠিপেটা করেছে তারা কারা? এ কাজগুলো সংবিধান পরিপন্থী।’
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতা না থাকলে দেশে গণতন্ত্র থাকে না। বর্তমানে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’ একটি অসভ্য আইন। এর চাইতে খারাপ কোনো আইন আর হতে পারে না। বাংলাদেশকে একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র করতে হলে গণমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিতে হবে। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ মানে ফ্যাসিজম। এটাই এখন বাংলাদেশ চলছে।’
রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য শুধু নয়, সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতাও হরণ করেছে।’
খবর৭১/এসঃ