খবর৭১,জাহিদুল ইসলাম,স্টাফ রিপোটার:এই পদ্মা, এই মেঘনা,
এই যমুনা সুরমা নদী তটে।
আমার রাখাল মন, গান গেয়ে যায়
এই আমার দেশ, এই আমার প্রেম
আনন্দ বেদনায়, মিলন বিরহ সংকটে। বাংলার নদী নিয়ে অনেক আবেগের কথা গানের কলিতে তুলে ধরেছেন গীতিকবিরা। কেননা, নদী ও মানুষের জীবন যেন অবিচ্ছেদ্য। নদীমাতৃক বাংলাদেশের মানুষের জন্য এ কথাটি একটু বেশিই সত্য। কিন্তু আমাদের বেশির ভাগ নদী আজ মৃতপ্রায়। এক সময়ে বাংলাদেশে ছোট-বড় প্রায় সাড়ে ১১শ’ নদী ছিল। বর্তমানে আছে ৪০৫টি। নদী না বাঁচলে বাঁচবে না বাংলাদেশ। তাই নদী নিয়ে পরিবেশবাদী ও বিশেষজ্ঞসহ সাধারণ মানুষের যত উদ্বেগ। তবে নদী রক্ষার তৎপরতা গোটা দুনিয়াজুড়েই।
এ কারণে নদী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়তে বিশ্বব্যাপী বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ রোববার পালিত হয়ে আসছে ‘বিশ্ব নদী দিবস’। ১৯৮০ সাল থেকে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রোববার বিশ্ব নদী দিবস হিসেবে পালন শুরু হয় কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়া (বিসি) ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি। বাংলাদেশে ২০১০ সাল থেকে এ দিবস পালিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে নদী রক্ষায় আন্দোলনকারী পরিবেশবাদী সংগঠন বলেন, ‘বিশ্বের সব মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে নদীর তীরে। এর থেকেই প্রতীয়মান হয় নদীর সঙ্গেই মানবসভ্যতা ও মানুষের অস্তিত্ব জড়িত। ‘আমাদের আহসানমঞ্জিল বুড়িগঙ্গামুখী। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানুষের বসতিও গড়ে উঠেছে নদীমুখী। কিন্তু এখন বুড়িগঙ্গার দিকে পিছন দিক করে ভবন তৈরি হয়। এর থেকেই বোঝা যায়, নদী আমরা কোথায় নিয়ে গেছি।’ তার মতে, নদী তিনভাবে মারা যাচ্ছে। তা হচ্ছে, অবস্থানগত, জৈবিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে। দখল-দূষণমুক্ত হলে নদী আর মরবে না।
খবর৭১/জি: