সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ওপেন পাচাঁর করা হচ্ছে ইয়াবা,মদ,গাজা,হেরুইন ও কয়লা। শুক্রবার(২১.০৯.১৮ইং) ভোর ৪টায় চোরাচালানী কালাম মিয়া,জানু মিয়া,জিয়াউর রহমান জিয়া,তানজু মিয়া,বাবুল মিয়া,আবুল মিয়া,মানিক মিয়া,লাল মিয়া,মজিবুর মিয়া গং ভারত থেকে কয়লা ও বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য পাচাঁর করে লালঘাট গ্রামে ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই করার সময় অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার আমিনুল হক ৩মে.টন অবৈধ চোরাই কয়লা জব্দ করেন। কিন্তু ৩টি ইঞ্জিনের নৌকা বোঝাই ১৫ মে.টন কয়লাসহ মদ ও ইয়াবা আটক করতে পারেনি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয় দিয়ে লালঘাট গ্রামের একাধিক চোরাচালান মামলার জেলখাটা আসামী কালাম মিয়া,জানু মিয়া ও দুধেরআউটা গ্রামের জিয়াউর রহমান জিয়া সিন্ডিকেডের মাধ্যমে এই সীমান্তের ১১৯৭ নং পিলার সংলগ্ন লালঘাট ও লাকমা এলাকা দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে শতশত মে.টন কয়লাসহ কয়লার বস্তার ভিতরে করে মদ,গাজা,হেরুইন ও ইয়াবা পাচাঁর করে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সামনে অবস্থিত দুধের আউটা,ডাম্পের বাজার,নতুন বাজার,লালঘাট ও তেলিগাঁও গ্রামে নিয়ে ওপেন বিক্রি করছে। এবং পাচাঁরকৃত ১ বস্তা (৮০কেজি) কয়লা থেকে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার দেলোয়ার হোসেনের নামে ৫০টাকা,নায়েক সাব্বিরের নামে ১০টাকা,টেকেরঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই ইমামের নামে ৩০টাকা ও আব্দুর রাজ্জাক ৩০টাকা চাঁদা নেওয়াসহ মদ,গাঁজা,হেরুইন ও ইয়াবা পাচাঁরের জন্য সাপ্তাহিক ২০থেকে ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা নিচ্ছে চোরাচালানী কালাম মিয়া ও জিয়াউর রহমান জিয়া। এব্যাপারে বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারী চোরাচালানী কালাম মিয়া বলেন,আমার বিরুদ্ধে পত্রিকা লিখে কিছুই করতে পারবেন না কারণ আমি যা করছি পুলিশ ও বিজিবিকে নিয়েই করছি তাছাড়া আমারও দু-এক সাংবাদিক আছে। এব্যাপারে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার নায়েক সুবেদার দেলোয়ার হোসেন বলেন,আমার সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাচালানের কোন তথ্য পাইনা,আর চোরাচালানী কালাম মিয়াকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করব সে আমার নামে চাঁদা নেয় কি না। সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক আবুল আহসান বলেন,বালিয়াঘাট সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।