মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ হবিগঞ্জ শহরের উত্তর শ্যামলী এলাকায় মায়ের সাথে অভিমান করে শাহিন মিয়া (২৮) নামে এক ইলেক্ট্রেশিয়ান আত্মহত্যা করেছে। তবে এ লাশ নিয়ে হাসপাতালের মর্গের সামনে শাহীনের পরিবার ও শ^শুর বাড়ির লোকজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পরে ২ ডোমের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। শাহিন চুনারুঘাট উপজেলার গাজিপুর গ্রামের হাসন আলীর পুত্র। সে দীর্ঘদিন ধরে উত্তর শ্যামলী এলাকায় বসবাস করে আসছে। দাম্পত্য জীবনে শাহীনের ৩ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ৫ বছর পূর্বে জালালাবাদ গ্রামের জহুর আলীর কন্যাকে বিয়ে করে। সে প্রায়ই নেশার টাকার জন্য মায়ের সাথে ঝগড়া করত। মা সন্তানের মন রক্ষার্থে বিভিন্ন স্থান থেকে (২য় পৃষ্ঠায় দেখূন) দার-করজা করে টাকা দিয়ে আসছিল। এক মাস আগে শাহীনের স্ত্রী অভিমান করে সন্তান নিয়ে পিত্রালয়ে চলে যায়। গত শনিবার রাতে পুণরায় তার মায়ের কাছে টাকা চায়। টাকা না দিলে অভিমান করে ঘরের তীরের সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলতে থাকে। তার ছোট ভাই ঘরের দরজা ভেঙ্গে তীরের সাথে লাশ ঝুলতে দেখে সদর থানায় খবর দিলে এসআই আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাত ৩টার সময় লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। গতকাল রবিবার দুপুরে খবর পেয়ে শ্বশুর জহুর আলী সহ তার লোকজন হাসপাতালের মর্গে ছুটে আসেন। অপরদিকে শাহীনের মামা নূর হোসেন ও আবুল হোসেন হাসপাতালে আসেন। শাহীনকে নিয়ে এক পরিবার আরেক পরিবারকে দোষারোপ করে এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্ধ সৃষ্টি হয়। লাশ কাটার সময় চলে যেতে থাকে। তখন হাসপালের দুই ডোম এসে বলে তোমরা যদি এ রকম কর তাহলে আমরা লাশ কাটবনা আমরা চলে যাব। এ কথার বলার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিকাল ৫টায় ময়নাতদন্ত শেষে পলিশ দুই পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করে। সন্ধ্যার দিকে হরিপুর কবর স্থানে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়
খবর৭১/ইঃ