ভোলা প্রতিনিধিঃ
ভোলায় ‘যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রনে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে ডায়াবেটিক সমিতি সদস্যদের ভূমিকা শীর্ষক’ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) ভোলা জেলা শাখার আয়োজনে ভোলা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব) ভোলা জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মুহাম্মদ শওকাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভোলা সদর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার মোঃ তৈয়ব। যক্ষ্মা রোগের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক সিভিল সার্জন ও নাটাব ভোলা শাখার সম্পাদক ডাঃ মোঃ আবদুল মালেক। এসময় বক্তব্য রাখেন, ভোলা নাগরিক অধিকার ফোরামের সম্পাদক এ্যাডভোকেট সাহাদাত হোসেন শাহিন। পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন, মোঃ সাইদুর রহমান মাসুদ। এসময় ডায়াবেটিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, সাধারণত বদ্ধ, স্যাঁত স্যাঁতে, ঘনবসতিপূর্ণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝেই যক্ষ্মা বা টিবি রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। যক্ষ্মা বা টিবির জীবাণুর সংক্রামণ বৈশিষ্ট্যের কারণেই এমনটি হয়। এ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতার মাত্রা কম থাকায় এ রোগের বিভিন্ন লক্ষণ বা উপসর্গ সর্ম্পকে আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর সিংহভাগেরই তেমন ভালো কোনো ধারণা নেই। মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবার কিউলোসিস নামের এক ধরনের জীবাণু থেকে এ রোগ ছড়ায়। আক্রান্ত রোগীর কফ থেকে এ রোগের জীবাণু একজনের দেহ থেকে অন্যজনের শরীরে প্রবেশ করে। এ রোগের কোন নির্দিষ্ট সুপ্ত কাল নেই। যেসব রোগী ৩ সপ্তাহের বেশি জ্বরে ভোগে তাদের ৩৩ শতাংশ যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়ায় আশঙ্কা থাকে। যাদের কাছ থেকে যক্ষ্মা রোগ ছড়াতে পারে তাদের বলা হয় ‘ওপেন কেস’। এদের কফ থেকে সব সময় জীবালু বাসাতে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এদের সাথে চলাফেরা করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। রোগীর হাঁচি কাশির সাথে সাধারণত রোগ জীবাণু বাইরে আসে। রোগীর ব্যবহার করা কোনো জিনিস যেমন থালা বাটি গ্লাস ও পরিধেয় বস্ত্রাদির মধ্যদিয়ে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। বুকের মধ্যে রক্তের ইএসআর, কফ পরীক্ষা এবং টিউবার কিউলিন বা মনটেস্ট টেস্ট করে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়। বিসিজি ভ্যাকসিন ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করতে পারে। তিনি ডায়াবেটিক সমিতির নেতৃবৃন্দকে যক্ষ্মা বিষয়ে জনগণকে সচেতন করার জন্য আহবান জানান।
খবর৭১/ইঃ