অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুকে প্রাণনাশের হুমকি ইবি প্রেসক্লাবের প্রতিবাদ সভা

0
355

রুমি নোমান ইবি প্রতিনিধিঃ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল সাংবাদিক সংগঠন প্রেসক্লাব ও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু কে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় ইবি প্রেসক্লাবের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্ণারে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ইবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসিফ খানের সালনায় ও সভাপতি ইকবাল হোসোইন রুদ্রের সভাপতিত্বে এ প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্খিত ছিলেন প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জুয়েল হোসেন তনু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ, দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত তিমির, কোষাধ্যক্ষ সরকার মাসুম, প্রচার সম্পাদক এর আর রাশেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, ক্রীড়া সম্পাদক রুমি নোমান, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু হুরায়রা, সদস্য আহসান নাইম, মাহবুব রায়হান প্রমুখ।
সভায় বক্তরা বলেন, ‘ অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া মানে প্রগতিশীল গোষ্ঠীকে হুমকি দেওয়া। এ হুমকি প্রগতিশীল মানুষদের মুখ বন্ধ করার অভিপ্রয়াশ। আমরা এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। একইসাথে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, অপপ্রকারকারী ও হুমকিদাতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় তানা হোক।’
গত ৪ আগস্ট আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন শাহজাহান আলম সাজু। এতে তিনি উল্লেখ করেনÑ
‘‘এই মিথ্যাচারের শেষ কোথায়? এদের রুখে দাঁড়ান।”
আজ ৪ আগস্ট দুপুরে আমি আওয়ামী লীগের ধানমন্ডিস্হ কার্যালয়ে ছিলাম। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহ দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই তখন সেখানে ছিলেন। আমি দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সেখানে ছিলাম। এর মধ্যে আন্দোলনকারি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঢুকেপড়া সন্ত্রাসীরা অন্তত তিন দফা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করে। উক্ত হামলায় আহত অন্তত দশজন আওয়ামী লীগ কর্মীকে আমি নিজ চোখে দেখেছি। আমার সঙ্গী স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা পান্না ভাইও সামান্য আহত হযয়েছেন। এই অবস্থায় কর্মীরা বার বার নেতাদের কাছে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করলেও তাদের নিরুৎসাহিত করা হয়। অথচ পার্টি অফিসে বসেই ফেইসবুকে দেখলাম ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা নাকি আন্দোলনকারি চারজন ছাত্রকে হত্যা এবং চারজন ছাত্রীকে রেপ করে পার্টি অফিসে আটকে রেখেছে।
কারা এই নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলছে? তাদের উদ্দেশ্য কি? এদের রুখে দাঁড়ান।
ফেসবুকে এই স্ট্যাটাসের জের ধরে অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুকে বিভিন্ন ভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

খবর৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here