খবর ৭১: জাতীয় নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক দলসহ সব মহলের উৎকণ্ঠাকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।
আগারগাঁওস্থ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) ভবনের সম্মেলন কক্ষে সোমবার সকালে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ মনোভাব ব্যক্ত করেন।
সিইসি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন মহলে ইভিএম নিয়ে উৎকণ্ঠা বা জানার আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। কারণ, আমরা এটির ব্যবহার, উপকারিতা সম্পর্কে এখনো তাদের জানাতে পারিনি। পর্যায়ক্রমে তারা সব জানতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘যেকোনো উদ্যোগ, নতুন আবিষ্কার বা প্রযুক্তি এলে, তা নিয়ে জানার উৎকণ্ঠা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এটিকে আমরাও ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। যারা ভোট দেবেন বা টেক্স হোল্ডারদের টাকা অপচয় হবে কিনা এটা জানতে চাইবেন, এটাও তো স্বাভাবিক বিষয়।’
নূরুল হুদা বলেন, ‘প্রযুক্তি এখন আর বাক্সে বন্দি নেই। এটি এখন মানুষের হাতে হাতে। মোবাইলের মাধ্যমেই আমরা এখন সব তথ্য আদান-প্রদান করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে হাজার রকমের জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়। চিন্তায় থাকতে হয়, কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় ব্যালট পেপার ছিনতাই হয় কিনা? প্রযুক্তির ব্যবহার হলে এসব চিন্তা দূর হবে। তাছাড়া নির্বাচন পরিচালনায় ৭০ ভাগ খরচ হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য, সেটিও কমে আসবে।’
সিইসি বলেন, ‘ইভিএম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার হবে কি হবে না, সে চিন্তা আরো পরে করা হবে। যদি আইন হয়, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া সম্ভব হয় এবং সব মহলে এর গ্রহণযোগ্যতা পাওয়া যায়, তার ওপর নির্ভর করবে।’
ইভিএম কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ইভিএম কেনার বিষয়ে আমাদের কোনো তহবিল থাকবে না। এটা অর্থ মন্ত্রণালয় ও সরকার দেখবে। এ বিষয়ে আমরা চিঠি দিয়ে ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে মিটিং করে জানিয়েছি।’
ইটিআইয়ের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।