খবর৭১ঃতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলমকে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের প্রথম শ্রেণির ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরু এ আদেশ দেন। আসামিপক্ষের অপর আইনজীবী জায়েদুর রহমান যুগান্তরকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, এর আগে ১২ আগস্ট সাত দিনের রিমান্ড শেষে শহিদুল আলমকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ওই দিন আসামিপক্ষে কোনো জামিন আবেদন করা হয়নি। শুনানি শেষে আদালত ওই দিনই তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর ১৪ আগস্ট তার জামিন আবেদন করলে জামিন শুনানির জন্য আগামী ১১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
এরও আগে ৫ আগস্ট রাতে ধানমণ্ডির বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে একদল লোক শহিদুলকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ। এরপর তাকে রমনা থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, দৃক গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা ড. শহিদুল আলম নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারে মিথ্যা তথ্য দিয়ে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলাটি ডিবি পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) আরমান আলী তদন্ত করছেন।
খবর৭১/এসঃ