খবর৭১: ১ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া সরকারিভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে মালয়েশিয়া। ফরেন ওয়ার্কার এপ্লিকেশন সিস্টেম (এসপিপিএ) ব্যবহার করে শ্রমিক নেবে না ড. মাহাথির মোহাম্মদের সরকার।
এসপিপিএ (Sistem Permohonan Pekerja Asing) হলো বিদেশি কর্মী নিয়োগের আবেদন প্রক্রিয়া। এসপিপিএ পদ্ধতিতে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নিতে বাংলাদেশসহ ১২টি দেশ থেকে এসপিপিএর মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন করা হতো। আগামী ১ সেপ্টেম্বর এসপিপিএ অবলুপ্ত করে দেয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে গত ১৪ই আগস্ট বৈঠক হয় ফরেন ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্টের স্পেশাল কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
মালয়েশিয়ার অনলাইন দ্য স্টার বলা হয়েছে, সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে টার্মস অ্যান্ড কমিশনের অধীনে। পলিসি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিরতি অথবা স্থগিত করার অধিকার সংরক্ষণ করে সরকার। এক্ষেত্রে কোনো ক্ষতি হলে তার জন্য দায় নেবে না সরকার।
ড. মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, বিদেশী শ্রমিক নেয়ার জন্য একটি ‘সিঙ্গেল সিস্টেম’ সৃষ্টি করা হবে। এক্ষেত্রে যেসব দেশ থেকে শ্রমিক আমদানি করা হয় তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ করা হবে না।
এর আগে দ্য স্টার এক রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল যে, স্থানীয় এজেন্টদেরকে ২০ হাজার রিঙিত দিতে হয় প্রতিজন বাংলাদেশী শ্রমিককে। সেই অর্থের অর্ধেক পরিশোধ করতে হয় সিন্ডিকেটের পিছনে। তারা ওয়ার্ক পারমিট আদায় করে দেয় এবং মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিমানের টিকেট করে দেয়।
তবে বাংলাদেশি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি মালয়েশিয়ার সরকার। বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের একটি ব্যবস্থা কেবল স্থগিত করেছে। ফলে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক পাঠাতে সাময়িকভাবে কিছু প্রভাব পড়তে পারে, কিন্তু শ্রমবাজার বন্ধ হবে না।
খবর৭১/জি: