খবর৭১:আজ ফুলবাড়ি ট্রাজেডি দিবস। দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে ২০০৬ সালের এদিনে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহবানে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি না করার দাবিতে বহুজাতিক কোম্পানী এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে বিডিআর-পুলিশের গুলিতে কলেজ ছাত্র তরিকুল, আমিন ও সালেকিনের মর্মান্তিক মৃত্যুসহ দু’শতাধিক নারী-পুরুষ, ছাত্র-যুবক আহত হয়।
এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয় শতাধিক মানুষ।
কিন্তু এতো দিন পরেও ৬ দফা ফুলবাড়ী চুক্তি আজও কার্যকর হয়নি। প্রত্যাহার হয়নি এশিয়া এনার্জি অফিসও। বরং একাধিক মামলা মাথায় নিয়ে বেড়াতে হচ্ছে ফুলবাড়ীবাসীকে।
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল, জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং বিদেশি কোম্পানি এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ী থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে সকাল থেকেই ফুলবাড়ীর ঢাকা মোড়ে ফুলবাড়ী, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ ও পার্বতীপুর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হতে থাকে।
দুপুর ২টার দিকে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ও ফুলবাড়ী রক্ষা কমিটির নেতৃত্বে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল নিমতলা মোড়ের দিকে এগুতে থাকলে পুলিশ ও তৎকালীন বিডিআর তাতে বাধা প্রদান করে। কিন্তু পুলিশ-বিডিআরের বেরিকেড ভেঙে মিছিলটি এগুতে থাকলে মিছিলের ওপর টিয়ার সেল, রাবার বুলেট ও নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করা হয়। গুলিতে নিহত হয় আল আমিন, সালেকীন ও তরিকুল।
খবর৭১/জি: