খবর৭১:ঈদের ছুটির মধ্যে মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় এসে নিখোঁজ হন বিভিন্ন বয়সী ২৮ জন। প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে পরিবার-পরিজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন তারা। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ২২ জুলাই সারাদেশে ঈদুল আজহা পালিত হয়। ঈদের দিন থেকে রাজধানীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় মানুষের ভিড় দেখা যায়। কেউ ছেলে-মেয়ে, কেউ বা বাবা-মাসহ পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে হাজির হন এখানে।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদের দিন থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত তিন লক্ষাধিক দর্শনার্থীর আগমন হয় এই বিনোদনকেন্দ্রে। এসব দর্শনার্থীর মধ্যে গত তিনদিনে বিভিন্ন বয়সী ২৮ জন হারিয়ে যান। পরে কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে হারানোদের উদ্ধার করেন।
২৩ আগস্ট অর্থাৎ ঈদের পরের দিন রাব্বি নামে ১১ বছরের এক শিশু হারিয়ে যায়। পরে বাবা ইলিয়াস আলী ও মা রহিমা বেগম চিড়িয়াখানা তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে অভিযোগ করেন। হারানোর বিষয়টি মাইকিং করে জানানোর আধাঘণ্টা পর শিশু রাব্বিকে উদ্ধার করা হয়।
২৪ আগস্ট বড় ভাই রাজীব ও ভাবী মাহমুদার সঙ্গে সাথী আক্তার (৯) বেড়াতে আসে। চিড়িয়াখানায় প্রবেশের এক ঘণ্টা পর তাকে আর পাওয়া যায় না। ভাই ও ভাবী তথ্যকেন্দ্রে এসে কান্নাকাটি শুরু করেন। পরে কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে শিশু সাথীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করেন।
গত ২৩ আগস্ট চিড়িয়াখানায় এসে আটজন, ২৪ আগস্ট ১২ জন এবং সর্বশেষ ২৫ আগস্ট আটজন হারিয়ে যান। পরে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার তথ্যকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ডা. ওয়ালিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, চিড়িয়াখানায় বেড়াতে এসে প্রতিদিন ছোট ছোট শিশুরা হারিয়ে যাচ্ছে। এমনকি বয়োজ্যেষ্ঠরাও বাদ যাচ্ছেন না। হারিয়ে যাওয়া সদস্যকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
‘অভিভাবক ও পরিজনদের অসতর্কতা এবং উপচে পড়া ভিড়ের কারণে অনেকে হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকে আবার দিকবিদিক ছোটাছুটির করেন। এ কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’ ছোট ছোট শিশুদের হাতছাড়া না করা এবং আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে চিড়িয়াখানায় আগতদের ঘোরাফেরার পরামর্শ দেন তিনি।
খবর৭১/জি: