খবর ৭১ঃদুধ আমাদের জীবনে একটা অত্যন্ত জরুরি খাদ্য। দুধ খেতে ভালো না লাগলেও ছোটবেলায় মায়ের চাপে পড়ে আমরা সবাই কম বেশি দুধ খেতে বাধ্য হয়েছি। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য তো দুধ খুবই প্রয়োজনীয় একটা খাদ্য। দুধ না খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে যায়।
ভারত সারা পৃথিবীতে দুধ উৎপাদনে প্রথম স্থানে আছে, গোটা পৃথিবীর দুধ উৎপাদনের প্রায় ১৮ শতাংশের যোগান সে একাই দেয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ভারতে উৎপন্ন মোট দুধের অন্তত ৬০ শতাংশতেই ভেজাল থাকে! বাড়িতে আপনি দুধ আনছেন, বাচ্চাকে বা বাড়ির বয়স্ক অসুস্থ কোনো মানুষকে দুধ খেতে দিচ্ছেন। কিন্তু উপকারী, পুষ্টিকর ভেবে যে দুধ খাচ্ছেন, সেই দুধেও মেশানো থাকে নানারকম ক্ষতিকর পদার্থ।
এমনই এক বিখ্যাত দুগ্ধপ্রস্তুতকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে কিছু উপায়, যার মাধ্যমে যাচাই করা যাবে দুধ আদৌ ভেজাল কি না। এই নিয়মগুলিকে সঠিক বলছেন দুগ্ধজাত দ্রব্য নিয়ে পরীক্ষা চালানো গবেষকরাও। দেখে নিন সে সব ঘরোয়া উপায়।
একটু দুধ মাটিতে ঢালুন। যদি দেখেন গড়িয়ে গিয়ে মাটিতে সাদা দাগ রেখে যাচ্ছে, তা হলে এ দুধ খাঁটি। অশুদ্ধ হলে মাটিতে সাদা দাগ পড়বে না।
দুধ গরম করতে গেলেই কি হলদেটে হয়ে যাচ্ছে? তা হলে এ দুধ খাঁটি নয়। এতে মিশেছে কার্বোহাইড্রেট।
বাড়িতেই করে ফেলুন স্টার্চ টেস্ট। একটু দুধ পাত্রে নিয়ে তাতে ২ চা চামচ লবণ মেশান। যদি লবণের সংস্পর্শে এসে দুধ নীলচে হয়, তা হলে বুঝবেন, এ দুধে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
দুধে ফর্মালিন রয়েছে কি না তা বুঝতে এর মধ্যে একটু সালফিউরিক অ্যাসিড মেশান। যদি নীল রং হয়, তবে ফর্মালিন আছে।
দুধে ইউরিয়া মেশানো আছে কি না তা ঘরোয়া উপায়ে নির্ণয় একটু কঠিন। তবে একান্তই বুঝতে চাইলে এক চামচ দুধে সয়াবিন পাউডার মেশান। কিছুক্ষণ রেখে এতে লিটমাস পেপার রাখুন। যদি লিটমাস ডোবাতেই লাল লিটমান নীল হয়, তবে বুঝবেন ইউরিয়া রয়েছে সেই দুধে।
দুধের সমান জল মেশান একটি শিশিতে। এবার শিশির মুখ বন্ধ করে জোরে ঝাঁকান। অস্বাভাবিক ফেনা হলেই বুঝবেন, দুধে মেশানো আছে ডিটারজেন্ট।
খবর ৭১/ইঃ