সেলিম হায়দার
সাতক্ষীরা তালায় কপোতাক্ষ খনন প্রকল্প’র পাখিমারা বিলের গলাভাঙ্গা এলাকার প্রতিরক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে চারটি গ্রামে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে ফসলি জমি ও মৎস্য ঘের। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন জনগণ। বুধবার সকালে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে চার গ্রাম প্লাবিত হয়।
এলাকারবাসীর অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারণে এধরনের ঘটনা ঘটেছে। ঝুকিপূর্ণ বাঁধের বিষয়ে বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানালেও তার কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। ফলে পশ্চিম প্রান্তের প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে হু-হু করে পানি ঢুকে পড়ছে লোকালয়ে। এছাড়াও ঝুকিতে রয়েছে আরও ৪/৫টি গ্রাম।
জানাযায়, কপোতাক্ষের খনন প্রকল্পের আওতায় তালা উপজেলা খেশরা ও জালালপুর ইউনিয়নের পাখিমারা বিলে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫ শত ৬৬ একর জমিতে টি.আর.এম প্রকল্প চালু করা হয়। টি.আর.এম প্রকল্পে’র জমি অধিগ্রহন, লিংক চ্যানেল খনন সহ টেকসই প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মান করার কথা থাকলেও ৪ বছর মেয়াদী প্রকল্পের কাজ ৫ম বছরে শেষ মুহুর্তে ব্যাপক দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে যেনতেনভাবে বাঁধ দেওয়ার ফলে বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়।
বুধবার সরেজমিন মাদরা, গুচ্ছগ্রাম পার মাদরা,দোহার, এলাকায় গিয়ে দেখাযায় রাস্তা-ঘাট, বসত-বাড়ী, ফসলীজমি, মৎস্য ঘের তলিয়ে গেছে। কমপক্ষে শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। প্রবল ¯্রােতে পানি প্রবেশ করায় আশপাশের আর ৪/৫ টি গ্রামে পানি ঢুকে পড়ার আশংকা করছে এলাকাবাসী। মাদরা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজুল বিশ্বাস, গোপাল বাছাড়, আঃ গফুর, নেপাল বাছাড় সহ অনেকে জানায়, দাঁয়সারা বাঁধের কারণে গলাভাঙ্গা গেট এলাকা ভেঙ্গে বিস্তির্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরাÑ১ (তালা – কলারোয়া) সংসদ সদস্য এ্যড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ভাঙ্গন ও প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি অবিলম্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বাঁধ মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন। অপর দিকে তালা উপজেলা পানি কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মঈনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মীর জিল্লুর রহমান, তালা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রনব ঘোষ বাবলু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন জানান, বেড়িবাঁধ কাজ আবার শুরু করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী’র সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি তার মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেননি।
খবর ৭১/এসঃ