গাইবান্ধায় বাল্য বিয়ে রেজিস্টিতে ভুয়া কাজী গ্রেপ্তার

0
348

আবু বক্কর সিদ্দিক, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাল্য বিয়ে রেজিস্ট্রীর সময় এজান আলী খাঁন নামে ভুয়া কাজীকে গ্রেপ্তার করেছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার ভোরে জেলা সদরের কুপতলা গ্রামের নূরুন্নবী খাঁনের পুত্র ও গাইবান্ধা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী মোহাম্মদ আলীর সহকারী কাজী হিসেবে এজাহান আলী মিঠু ইতোমধ্যে ইসমাইল হোসেন, মিলন মিয়া,আবু বক্কর, জামিল মিয়া, আতোয়ার মাষ্টার ও আমিনুল ইসলামকে ভুয়া বিয়ে ও তালাক রেজিষ্টারের কপি সরবরাহ করে করেছর। তিনি জেলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা, আদালত চত্তর এমনকি তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ও বাল্য বিয়ের ভুয়া রেজিষ্ট্রার বইতে বিয়ে ও তালাক রেজিষ্ট্রি করে চলেছেন।প্রত্যেকটি বাল্য বিয়ে রেজিষ্ট্রি করতে অতারিক্ত টাকা হাতান। গ্রেপ্তারের সময় তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকটি ভুয়া বিয়ে ও তালাক রেজিষ্টার বই জব্দ করে পুুুলিশ। তিনি গাইবান্ধা শহরের সোনালী ব্যাংকের পশ্চিম পাশে বনানী আবাসন এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। মোহাম্মদ আলী নামে বিয়ে রেজিস্টটতে সরবরাহকৃত বইয়ের ফাঁকা পাতায় বর ও কনের সই নেন।সই নেয়ার প্রয়োজন মনে করেন না বিয়ের সাক্ষী ও উকিলদের। এমনকি মোহরানার বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করেন না।পরে বর কিংবা কনে কোন এক পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে তাদের সুবিধা মতো মোহরানার নকল সরবরাহ করেন। এসব নকল কপিতে নিকাহ রেজিষ্ট্রার মোহাম্মদ আলীর সীল ও সই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মোহাম্মদ আলী তার সহকারীদের কাছে প্রত্যেকটি ভুয়া রেজিষ্টার বই বিক্রি করেন
মোটা অঙ্কের টাকায়। এরপর প্রতিমাসে মোটা অঙ্কের টাকা হাতান বলে অভিযোগ রয়েছে।
সদর থানা অফিসার ইনচার্জ- খাঁন শাহরিয়ার বলেন, বাল্য বিয়ে ঠেকাতে পুলিশ সব সময় তৎপর রয়েছে। নিকাহ রেজিষ্টার মোহাম্মদ আলী ও তার সহকারীদের বিরুদ্ধে ভুয়া বিয়ে ও তালাক রেজিষ্ট্রীর অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here