বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের সুলতানপুর সরকারী প্রাইমারি স্কুল থেকে মুনিগঞ্জ খেয়া ঘাট পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে চরম ভোগান্তিতে নদী পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। যানবাহন চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে এই রাস্তাটি। ঝুকিপূর্ন এই তিন কিলোমিটার রাস্তায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয়রা জানান, সুলতানপুর,ভাটসালা,বানিয়াগাতি, রথখোলা,কোন্ডলাসহ প্রায় ৮/১০ টি গ্রামের বিশ থেকে পচিশ হাজার লোকের যাতায়তের একমাত্র রাস্তা। ভ্যান,ইজিবাইক,নছিমুন ,করিমন যোগে এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার চাকুরিজীবি,ব্যবসায়ী ,স্কুল কলেজের কোমল মতি ছেলে মেয়েরা যাতায়ত করে। বর্তমানে রাস্তার করুন দূরবস্থার কারনে কোন যানবাহন চলতে পারে না।
বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং নদীতে জোয়ার এলে রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে যায়। আশপাশের ঘর বাড়িতে পানি ওঠে। রাস্তাটি বেশি ঝুকিপূর্ন ও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবার কারনে অনেক পরিবার তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে স্থানীয় জনগনের দাবি রাস্তাটির দ্রুত একটি স্থায়ী সমাধান করা। সুলতানপুর ইজি বাইক ও অটোভ্যান সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ ওবায়দুল শেখ বলেন, একাধিক জনপ্রতিনিধি কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য আমাদের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন কাজে আসছে না। আমরা দ্রুত রাস্তাটি সংস্করনের দাবি জানাই। ভ্যান চালক সোহেল শেখ জানান, গত বুধবার জরুরি কাজে ভ্যান নিয়ে খেয়াঘাট যাচ্ছিলাম পথিমধ্যে রাস্তার খাদে পড়ে ভ্যানটির ভেঙ্গে যায় ।এখন বেকার হয়ে বসে আছি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়,রাস্তাটি ঝুকিপূর্ন হওয়ায় সাধারন মানুষ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়ে ।ফলে নিজ উদ্দোগে বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য ইব্রাহীম হোসেন মোল্লা স্থানীয় কিছু সংখ্যক খেটে খাওয়া মানুষকে সংঘবদ্ধ করে রাস্তাটি ইট,বালি দিয়ে সংস্কারের চেষ্টা করছে। বিগত বছরেও তিনি একইভাবে রাস্তাটি সংস্কারের কাজটি করেছেন। এ বিষয়ে ইব্রাহীম হোসেন মোল্লা বলেন,রাস্তা দিয়ে চলাচলের কোন পরিবেশ নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সমন্বয়ে রাস্তার কাজ সংস্কার করা সম্ভব। উভয় জায়গায় একাধিক অভিযোগ দেওয়া সত্ত্বেও কোন সুফল পাইনি। রাস্তাটি যদি দ্রুত সংস্কার করা না হয় তবে অচিরেই নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। বাগেরহাট সদর উপজেলার বেমরতা ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন টগর বলেন,রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে এলাকার লোকজন চরম ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা প্রয়োজন। আশা করছি আগামী শুকনা মৌসুমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সংস্কারের কাজ শুরু হবে ।