সেলিম হায়দার :
বিয়ের ৬ মাসের মাথায় মায়া দাস (২৬) নামে এক নববধূকে স্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার দোহার দাস পাড়া গ্রামের সরজিৎ দাসের মেয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে ২৪ জুলাই দুপুরে চট্রগ্রামের হালিশহর এলাকায়। এঘটনায় মায়া দাসের ভাই অনুপম দাস বাদী হয়ে গত ২৫ জুলাই চট্রগ্রাম হালিশহর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। যার নং ২২,তারিখ ২৫ জুলাই। হত্যাকান্ডের পর থেকে নিহত মায়াদাসের স্বামী বিশ্বজিৎ দাস পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, সাতক্ষীরার তালার দোহার গ্রামের সরজিৎ দাসের মেয়ে মায়া দাস (২৬) সাথে গত প্রায় ৬ মাস পূর্বে খুলনা জেলার পাইকগাছা থানার কাটিপাড়া গ্রামের পিতা সুকুমার দাসের ছেলে বিশ্বজিৎ দাসের (৩৪) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তার পিতা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ৪ ভরি সোনার গহনা, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়েছিল। বিয়ের পর থেকে গত প্রায় ৪ মাস ধরে মায়া দাস তার স্বামীর বাড়িতে থাকত। তার স্বামী বিশ্বজিৎ দাস চট্রগ্রাম হালিশহর থানাধীন এলাকায় চাকুরীর সুবাদে তাকে গত দু’মাস পূর্বে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাকে ঘর সাজানো বাবদ আরও একলক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করে শারিরীক ও মানুসিক নির্যাতন করতে থাকে । নির্যাতন ও যৌতুকের টাকার কথা মোবাইলে মায়া দাস তার মাকে মোবাইলে জানায়।
এক পর্যায় গত ২৪ জুলাই দুপুরে চট্রগাম হালিশহর ২নং রোডস্থ ৪০ নং বাসার ৬ষ্ঠ তলায় ভাড়া বাসায় মায়াকে স্বাসরোধে তাকে হত্যা করে। পরে থানা পুলিশ মায়াদাসের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়না তদন্ত শেষে তার স্বজনরা সৎকার করে।
এ বিষয়ে চট্রগ্রাম হালিশহর থানার সাবইন্সপেক্টর মোঃ আক্তার হোসেন জানান, নিহতের লাশ মেঝেতে পড়ে ছিল। পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।