খবর ৭১ঃ আগামী তিন সিটি নির্বাচন নিয়ে সরকার একটা ধুলিঝড়ের সৃষ্টি করে মূলত চক্রান্তে মেতে আছে। আসলে ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী সাধারণ ভোটারদের অধিকার ফিরে পাওয়াকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে। সেজন্য তারা ভোট সন্ত্রাস ও ভোট কারচুপির নতুন নতুন মডেল আবিষ্কার করে যাচ্ছে।
শনিবার (২৮ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী একথা বলেন।
রিজভী বলেন, অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘খালেদার মুক্তির জন্য কিছুই করতে পারবো না।’ আপনি তো পারবেন না এজন্যই পথের কাঁটা সরাতেই তাকে কারাবন্দি করেছেন। আপনি নির্বাক, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষহীন বাংলাদেশ চাচ্ছেন, আপনি চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছেন। সেজন্য আপনার প্রয়োজন একতরফা নির্বাচন, আর এই নির্বাচনের প্রধান প্রতিবন্ধকতা খালেদা জিয়া।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রযন্ত্রকে কব্জায় নিয়ে নিজের মতো করে গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, চিরন্তন বহুদলীয় গণতন্ত্রকে মৃত্যুশয্যায় পাঠিয়ে তিনি ক্ষমতা হাতে নিয়েছেন। তাই নিজের স্বার্থের জন্য দেশের জনপদের পর জনপদে রক্তস্রোত বইয়ে দিতে কোনো দ্বিধা করছেন না।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের হাতের মুঠোয় অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশে তিন সিটি কর্পোরেশনে একপেশে নির্বাচন করার ডিজাইনারের কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ প্রশাসন। নির্বাচন কমিশন যে সরকারের হাতের মুঠোয় সেই প্রমাণ নিজেরাই রেখে যাচ্ছে। তিন সিটিতে তফশীল ঘোষণার পর বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেফতার না করার প্রজ্ঞাপন জারির উদ্যোগ নিয়েছিল ইসি। কিন্তু পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আপত্তির মুখে সেই উদ্যোগ থেকে সরে আসে কমিশন।
তিনি বলেন, তিন সিটি নির্বাচনে বিএনপি নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশ হানা দিয়েছে, গ্রেফতারও করেছে বহুজনকে। আর ইতোমধ্যে মামলা দিয়ে কয়েকশ’ নেতাকর্মীকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে এতো অনাচারের পরেও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে কমিশন। জনগণ প্রশাসন ও ইসির ওপর ভরসা রাখতে পারছে না। আমি দলের পক্ষ থেকে তিন সিটিতে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও তাদের হেনস্তা করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে যেসব নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।