খবর ৭১ঃশুনলে অবাক হবেন চুমু নিয়েও গবেষণা করা হয়। মানুষ আপনজনকে আলিঙ্গন করতে চুমু দেয়। একটা মানুষের জীবনে সর্বপ্রথম চুমুটা আসে তার মায়ের কোলে বসে, মায়ের কাছ থেকেই। তারপর বাবা, ভাইবোন অন্যসব। ভালোবাসা মায়া-মমতায় আলিঙ্গনে কাছে টানে চুমু দেয়া হয় এটা আমরা ছোটবেলা থেকেই শিখে যায়।
বিজ্ঞানের যে শাখায় চুমু নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা কিংবা আলোচনা করা হয় তার নাম ফিলমেটোলজি। স্বামী-স্ত্রী কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক বৈধ সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ এক জোড়া নারী-পুরুষের একটি গভীর চুম্বনে প্রায় ৯ মি.গ্রাম পানি, ‘৭ মি.গ্রাম প্রোটিন, ‘১৮ মি.গ্রাম বিভিন্ন জৈব যৌগ (যেমন টেসটোসটেরন, ইস্ট্রোজেন, অক্সিটোসিন হরমোন), ‘৭১ মি.গ্রাম চর্বি, ‘৪৫ মি.গ্রাম সোডিয়াম ক্লোরাইড পরস্পর আদান প্রদান হয়।
এছাড়া একবার চুমুর মাধ্যমে প্রায় ৩০০ প্রজাতির ১০ লাখ ব্যাকটেরিয়ার আদান প্রদান হয়ে থাকে, যার কোনোটা ভালো কোনোটা আবার ক্ষতিকর। এক মিনিটের একটি গভীর চুমুতে মুখের প্রায় ৩৪টি মাংসপেশি এবং সারা শরীরে প্রায় ১১২টি মাংসপেশি আন্দোলিত হয় যাতে প্রায় ২৬ ক্যালরি শক্তি ব্যয় হয়। তবে মুখের অনেক দুরারোগ্য রোগ রয়েছে যা অস্বাস্থ্যকর বা যত্রতত্র চুমুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাই যত্রতত্র অস্বাস্থ্যকর চুমু আদান প্রদান থেকে সাবধান থাকতে হবে।
খবর ৭১/এসঃ