মোঃ আবু সাঈদ,বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের বিরামপুর গৃহবধু রুমি আক্তার (২২) কে যৌতুকের টাকার জন্য স্বামী গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার জন্য ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তার নিজ ঘরের আড়ঙ্গের সাথে ঝুলিয়ে এবং পরে ওড়না কেটে লাশ নামিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোসনা করেন।
নিহত রুমি আক্তার উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের চৌঘরিয়া গ্রামের কাছাব আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুর স্ত্রী।
রুমি আক্তারের মা সাজেদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার জামায় বাবু প্রতিদিন নিশা পান করত আর নেশার টাকার জন্য আমার মেয়েকে চাপ দিতে থাকে এবং অমানসিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মারা গেলে গলায় ওড়না পেচিয়ে ঘরের আড়ঙ্গের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। তিনি আরো জানান তাদের ৪ বছর বয়সের একটা ছেলেও রয়েছে।
২৫ জুলাই বুধবার ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকাবাসির সাথে কথা বললে তারা জানান, কয়েক দিন আগে থেকে তাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ হত ।এমনকি বাবু রুমিকে মারধরও করত। বুধবার সকালে তাদের বাড়িতে চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি ঘরের বারান্দায় শুয়ে রেখেছে।
বাবুর বড় ভাই খালেক জানান, ঘটনার পর আমি শুনে সেখানে গিয়ে অবস্থা দেখে চিকিৎসার জন্য প্রথমে কাটলা দেলোয়ার ডাক্তারের কাছে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে ডাক্তার বিরামপুর হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছে। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে পাঠিয়ে দিয়েছে।
কাটলা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুজ্জামান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিরামপুর থানার এস আই আকমল হোসেন,এস আই প্রদীপ কুমার এবং এস আই রাম চন্দ্র ঘটনা স্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। বিরামপুর হাসপাতালের ডাক্তার মশিউর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেয় মারা গিয়েছে।