মুকুরুল ইসলাম মিন্টু, চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধিঃযশোরের চৌগাছার এক অদম্য মেধাবী মুখ রায়হান উদ্দিন। সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় চৌগাছা ডিগ্রী কলেজ হতে বিজ্ঞান বিভাগে একমাত্র সে জিপিএ-৫ পেয়ে রীতিমত হৈচৈ ফেলে দিয়েছে। পরিবার তো বটেই মুখ উজ্জ্বল করেছে চৌগার প্রাচীনতম এই বিদ্যাপিঠের। রায়হান উদ্দিন পৌর এলাকার বাকপাড়া মহল্লার পিতা ইউছুপ আলী ও মাতা মিনু বেগমের একমাত্র ছেলে। সে ভবিষ্যাতে প্রকৌশলী হতে চাই, এজন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
জানা গেছে, সদ্য প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় চৌগাছার কলেজ গুলোর সার্বিক ফলাফল মোটামুটি সন্তোষজন হলেও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বহুলাংশে কমে গেছে, এ নিয়ে অভিভাবক মহলে দেখা দিয়েছে চরম অসন্তোষ। এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া অনেক শিক্ষার্থীই এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পায়নি । চৌগাছার সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান ডিগ্রী কলেজই এরসংখ্যা ১৭ জনের মত। জিপিএ-৫ নিয়ে যখন কলেজ গুলোতে চলছে হাহাকার তখন ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বিজ্ঞান বিভাগে রায়হান উদ্দিন কাংখিত ফলাফল সেই জিপিএ-৫ পেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র দুই জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাওয়ার গৌরব অর্জন করে। একজন মানবিক ও একজন বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএি-৫ পেয়েছে। মেধাবী মুখ রায়হান উদ্দিন বাকপাড়া মহল্লার ইউছুপ আলীর একমাত্র ছেলে। তার ছোট বোন রিমা খাতুন স্থানীয় একটি স্কুলের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী। পিতা ইউছুপ আলী চৌগাছা পৌরসভার ৪র্থ শ্রেনীর একজন কর্মচারী। তিনি জানান, রায়হান উদ্দিন ছোট বেলা থেকেই বেশ মেধাবী, কিন্তু শিক্ষা সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষায় সে কাংখিত ফল অর্জন করতে ব্যর্থ হয়। তবে এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ হতে ২০১৬ সালে হাজী মর্ত্তুজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পাই। অর্থনৈতিক সংকটের কারনে ভাল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাতে পারেনি রায়হান উদ্দিনকে। তাই চৌগাছা ডিগ্রী কলেজেই ছেলেকে ভর্তি করান। রায়হানের সাথে অনেক জিপিএ-৫ পাওয়া ছেলে মেয়ে ওই কলেজে ভর্তি হয়। কিন্তু বিজ্ঞান বিভাগে রায়হান একা ও মানবিক বিভাগে একজন জিপিএ-৫ পেয়েছে। রায়হান উদ্দিন বলেন, সে লেখাপড়া শিখে একজন প্রকৌশলী হতে চাই, এরজন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন। অদম্য মেধাবী মুখ রায়হান উদ্দিনের শিক্ষা জীবনের সাফল্য কামনা করেছেন চৌগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
খবর ৭১/এসঃ