খবর ৭১ঃমাদারীপুরের সদরে এক কিশোরীকে প্রথমে প্রাণনাশ ও পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে এক কিশোরী।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানায়, তার বাবা-মা মারা যাওয়ায় ছোট ভাইসহ সে উপজেলার পশ্চিম রাস্তি এলাকায় তার নানাবাড়ি থাকত। নানাবাড়ির পাশে তার সমবয়সী সোনিয়াদের বাড়ি প্রায়ই গল্প করতে যেত সে। বিভিন্ন সময় তার সঙ্গে রাতে গিয়ে ঘুমাতও।
আর এই সুযোগ নিয়েছিল সোনিয়ার বড় ভাই সাব্বির।
২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে সোনিয়া ঘুমিয়ে ছিল। ভোরে সোনিয়ার প্রাইভেট থাকায় সে ঘুম থেকে উঠে চলে যায়, কিশোরী ঘুমিয়ে ছিল এই সুযোগে সাব্বির ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে ওই কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার চেষ্টা করে, কিশোরী বাধা দিলে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
এরপর কিশোরীকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয় সে। এছাড়া পরে ভালোবাসার দোহাই দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে সাব্বিরকে অনেকবার বিয়ের কথা বলে।
এরপর পরিবারের কথা বলে একটু একটু করে সময় নিয়ে প্রায় ৬-৭ মাস পার করে দেয়। এরপর এলাকার লোকজন দিয়ে সাব্বিরের পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা এটা মেনে নেবে না বলে জানায় এবং মেয়েটিসহ তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
বর্তমানে মেয়েটি ৭ মাসের অন্তঃসত্তা। তার মেডিকেল রিপোর্টসহ বৃহস্পতিবার রাতে মাদারীপুর সদর থানায় সাব্বিরকে প্রধান আসামিসহ ৪ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী বলে, আমাকে প্রথমে জোরপূর্বক হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একই কাজ করেছে। আমি যখন ওর সন্তানের মা হতে চলেছি তখন অনেকবার অনুরোধ করেছি আমাকে বিয়ে করার জন্য।
আমার আত্মীয়স্বজন দিয়েও অনেকবার বলেছি। এখন আমি সাব্বিরের ৭ মাসের সন্তান গর্ভে নিয়ে অসহায় হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তাই মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। এখন আমি আমার ও আমার সন্তানের সামাজিক স্বীকৃতি চাই।
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সাব্বিরের বাবা মতলেব সরদার বলেন, আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। তবে এটা তো ধর্ষণ না, এটা দুজনের মতামতে হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে তবে কেন তারা মামলা করেছে। এখন আমরা কীভাবে আলোচনা করব।
মাদারীপুর সদর থানা ওসি মো. কামরুল হাসান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করে আসামিকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করছি।
খবর ৭১/ইঃ