খবর ৭১ঃভারতের উচ্চ আদালত বলেছে, বিয়ে কোনো ব্যক্তিকে স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতার অবারিত অধিকার দেয় না। যে কোনো সময় স্বামীর যৌন-ইচ্ছা মেটাতে স্ত্রী বাধ্য না।
দিল্লি হাই কোর্ট মঙ্গলবার একটি মামলায় শুনানিতে ওই মন্তব্য করেছে। বিচারপতি গীতা মিত্তাল ও বিচারপতি হরি শঙ্করের ওই হাই কোর্ট বেঞ্চে বলেছে, দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যেও যৌন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারী কিংবা পুরুষ উভয়েরই ‘না’ বলার অধিকার রয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
স্ত্রীর অসম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে কি হবে না- শুনানিতে আইনজীবীদের উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে আদালতের এই পর্যবেক্ষণ আসে।
বিচারকরা বলেন, বিয়ে মানে এই নয় যে নারীরা সব সময় শারীরিক সম্পর্কের জন্য তৈরি থাকবেন। এ ক্ষেত্রে নারীরও ইচ্ছা থাকা আবশ্যক।
আবার শুধু জোর করে স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনই যে ধর্ষণ, তা মনে করার কারণ এখন নেই বলেও মন্তব্য করেছে আদালত।
পুরুষ কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি এনজিওর স্ত্রীকে ধর্ষণ অপরাধ হিসেবে বিবেচনার বিরোধিতা করছিল শুনানিতে।
আদালতের যৌথভাবে আরআইটি নামে একটি এনজিও এবং অল ইন্ডিয়া ডেমক্রেটিক ওমেন অ্যাসোসিয়েশন ভারতের পেনাল কোডের ৩৭৫ নম্বর ধারাটি চ্যালেঞ্জ করে আবেদনটি করেছিল। ওই ধারায় বলা হয়েছে, স্ত্রীর সঙ্গে কোনো ব্যক্তির যৌনাচার ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না।
ওই আবেদনের বিরোধিতায় পুরুষ কল্যাণ ট্রাস্ট শুনানিতে বলেছিল, বিয়ের পরও নারীদের যৌন সহিংসতা রক্ষায় যথেষ্ট আইন রয়েছে, ফলে ওই ধারাটির পরিবর্তন নিষ্প্রয়োজন।
মঙ্গলবার শুনানি শেষ হয়নি, আগামী ৮ অগাস্ট ওই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন রেখেছেন আদালত।