শেরপুর থেকে আবু হানিফ :
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের কসাইপাড়া গ্রামে যৌতুকের দাবিতে অন্তঃসত্তা কুলসুম বেগম নামে এক গৃহবধূর হাত কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা ও কান কেটে দেয়ার চা ল্যকর মামলায় স্বামী লিটন কসাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় পুলিশ হাত কর্তন করার কাজে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করে পুলিশ। গতরাতে (৯জুলাই) জেলার নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আজ বিকেলে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত এক বছর আগে ঝিনাইগাতী উপজেলা সদরের লিটন মিয়ার সাথে কুলসুম বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে কুলসুমের উপর চাপ দিতে থাকে লিটন মিয়া। কুলসুম তার স্বামীর যৌতুকের দাবি পুরন করতে না পারায় কুলসুমকে দিয়ে তার স্বামী দেহ ব্যবসা করানোর চেষ্টা করে। স্বামীর কথামতো দেহ ব্যবসায় রাজি না হলে গত ১৩ জুন বিকেলে কুলসুমের স্বামী লিটন মিয়া ও তার অন্যান্য ভাইয়েরা কুলসুমের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এক পর্যায়ে লিটন ধারালো দা দিয়ে কুলসুমের ডান হাতের কব্জির উপর থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এসময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম ও কান কেটে দেয়।
এ ঘটনায় ৩ জুলাই কুলসুম বেগম বাদি হয়ে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী লিটনসহ ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
খবর৭১/এসঃ