খবর ৭১: চাইলেই সব ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করা যায় না বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. সহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাজধানীর অনেক ক্লাবের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে মাদক আমদানি, শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের মাধ্যমে মাদক বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সেসব ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে উত্তরা ক্লাবে অভিযান ও সাম্প্রতিক সময়ে শুল্ক গোয়েন্দার চলমান কার্যক্রম জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. সহিদুল ইসলাম বলেন,‘আমাদের কাছে অনেক ক্লাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। কিন্তু আমরা চাইলেই সব ক্লাবে অভিযান পরিচালনা করতে পারি না। আমাদের গোয়েন্দারা সেসব অভিযুক্ত ক্লাবের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহে কাজ করছেন। সেসব তথ্য হাতে পেয়ে নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
এখনই সেসব ক্লাবের নাম প্রকাশ করে কার্যক্রমের ব্যাঘাত ঘটাতে চান না জানিয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পর্যায়ক্রমে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে উত্তরা ক্লাবের তালা ভেঙে ৫ কোটি টাকার বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
ক্লাবে শুল্কমুক্ত সুবিধার মদ বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সেখানে কোটি কোটি টাকার মদ বিক্রি করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল দুপুর ২টার দিকে ওই ক্লাবটি ঘিরে ফেলা হয়। প্রথমে বাধা পেলেও বিকেল ৫টার দিকে ক্লাবের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দারা।
খবর ৭১/ই: