জমে উঠেছে রূপগঞ্জের ঈদের বাজার,চোর,ছিনতাইকারী রোধে মনিটরিং এ নিজেই মাঠে নেমেছেন নড়াইলের পুলিশ সুপার!

0
488

উজ্জ্বল রায়, নড়াইল জেলা প্রতিনিধি: ঈদের বাজারে চাহিদা বেড়েছে বিদেশি শার্ট, টি-শার্টের চাহিদার সাথেও দামের পাল্লা। ফ্যাশানের সাথে ঋতুর সম্পর্কও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ঋতু বদলের সাথে সাথে পরিবর্তনও আসছে পোশাক ও ফ্যাশানের। বর্ষার ভেতরেও ঈদ, এক দিকে থাকবে অন্য দিকে থাকবে মেঘ-বৃষ্টি। বর্ষাকালীন এসব ভাবনা মাথায় রেখে কটন, লিলেন ও সুতি কাপড়ের রকমারি, টি-শার্ট, প্যান্ট কালেকশনে রয়েছে নড়াইলের পোশাক ব্যবসায়ীরা। নড়াইলে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে নিরাপত্তার বলয় তৈরি হয়েছে নড়াইলের প্রত্যেকটি পরতে পরতে। গার্মেন্টস এর দোকান থেকে শুরু করে ব্যাংক, কাঁচা বাজার, মাংস বাজার, মশলার দোকানসহ বিভিন্ন স্থানে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মতো। সোমবার (৪ জুলাই) নড়াইল সদরের রূপগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজার সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে দেখা যায়, কেনাকাটার জন্য বিভিন্ন বয়সী মানুষ ভীড় করছে বিভিন্ন দোকানের সামনে। এত ভীড় থাকা সত্ত্বেও কোথাও নেই কোনো নিরাপত্তার ঘাটতি। জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা, ব্যাংকের সামনে, বড় বড় মার্কেটের সামনে বসানো হয়েছে পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা। চোর, ছিনতাইকারীদের রোধ করতে সাদা পোশাকেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও ঈদকে সামনে রেখে যাতে মাদকের ছড়াছড়ি না হতে পারে সেদিকে তীঘœ দৃষ্টি রাখছে নড়াইল জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশের সদস্যরা। নিরলস পরিশ্রম ও নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জেলা থেকে বিভিন্ন মামলার আসামিসহ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষম হচ্ছে তাঁরা। ঈদের বাজারে চাহিদা বেড়েছে বিদেশি শার্ট, টি-শার্টের চাহিদার সাথেও দামের পাল্লা। ফ্যাশানের সাথে ঋতুর সম্পর্কও অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ঋতু বদলের সাথে সাথে পরিবর্তনও আসছে পোশাক ও ফ্যাশানের। বর্ষার ভেতরেও ঈদ, এক দিকে থাকবে অন্য দিকে থাকবে মেঘ-বৃষ্টি। বর্ষাকালীন এসব ভাবনা মাথায় রেখে কটন, লিলেন ও সুতি কাপড়ের রকমারি, টি-শার্ট, প্যান্ট কালেকশনে রয়েছে নড়াইলের পোশাক ব্যবসায়ীরা। ফ্যাশান হাউজগুলোতে রেডিমেট পোশাকের বিপণী। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঋতুর সাথে তাল মিলিয়ে এখন পোশাকের রং ও ডিজাইন নির্ধারণ করা হয়। গরমের দিকে বিবেচনায় শার্ট ও টি-শার্টে কটনের প্রাধান্য এবার বেশি রয়েছে। হাফ হাতা, কলারে রকমারি প্রিন্ট ও স্লিফিট শার্ট। পাশাপাশি রয়েছে গোল গলা ও কলারওয়ালা টি-শার্টের। ঈদের আর মাত্র ৯-১০ দিন বাকি থাকায় কেনাকাটার কাজে কমবেশি সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে কেনাকাটার ব্যস্ততা যেন সবার চেয়ে একটু বেশি রকমেরই দেখা যাচ্ছে গার্মেন্টসগুলোতে। দাম্যের তারতম্যের কারণে ক্রেতার ছুটে চলছে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে। বিভিন্ন ফ্যাশান ও রেডিমেট পোশাকের দোকান ঘুরে পছন্দের টি-শার্ট কিনে শপিং ব্যাগ হাতে ঝুলিয়ে ঘরে ফিরছে তারা। দশ রোজার পর থেকেই নড়াইল শহরের বিভিন্ন মার্কেট পাড়ায় দৃশ্য এমনটাই। জানা গেছে ও ডিজাইনের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দামের শার্ট ও টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে। দেশি ব্র্যান্ডের তুলনায় এবারের ঈদের বাজারে বিদেশি ব্র্যান্ডের চাহিদা যেমন বেশি দামও তেমনি বেশি। ব্র্যান্ডের এক একটি শার্টের দাম ৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত। আর বিদেশি টি-শার্টের দাম সাড়ে আটশ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ছয় হাজার টাকার মধ্যে। বিদেশি ব্র্যান্ডের বিভিন্ন শার্টের ভেতরে হাইক, কিউজি, মুফতি, জের্নলি, জোর্ড, জন ল্যাংফোর্ড, ব্ল্যাক, এসও, জিরো ব্র্যান্ডের কদর এবার বেশি বলেও তুলনামূলকভাবে জানিয়েছেন। ডিজাইনের পাশাপাশি কাপড় উন্নতমানের হওয়ায় দামও একটু বেশি। নড়াইল থেকে প্রকাশিত “দৈনিক ভোরের বাংলা” পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায় ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ হিমেল মোল্যাকে বলেন, বিদেশি ব্র্যান্ডের শার্টের লুকটা আসলেই অনন্য। কাপড় যেমন আরামদায়ক, তেমনি ফ্যাশানেবল। এদিকে টি-শার্টের ভেতর টমি, এ্যবারকম্বি, বস, রিগ, এনথনি, গিভিননি ও স্ট্রাইডের প্রতি ক্রেতাদের ঝোঁক সবচেয়ে বেশি বলেও তিনি জানান। অপরদিকে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব ভাগ করে দিয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম পিপিএম, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান, সহকারি পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) মোঃ জালাল উদ্দিন, নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন ও ডিবি’র পরিদর্শক মোঃ আমিনুজ্জামানসহ পুলিশের চৌকশ টিমের সদস্যরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বদা বাজার মনিটরিং করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম নড়াইল জেলা অনলাইন মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি উজ্জ্বল রায়কে বলেন, ঈদের আনন্দ করতে আসা বিভিন্ন এলাকা থেকে ঈদের কাপড়চোপড়সহ যাবতীয় সকল সরঞ্জাম কেনাকাটার জন্য নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। তবে চেষ্টা করবো যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা মোকাবেলায় আমরা সর্বদা প্রস্তুত।
খবর ৭১/ইঃ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here